প্রার্থী হওয়ার পর কী প্রতিক্রিয়া তারকাদের?

বিধানসভা নির্বাচনের আগে একঝাঁক টলিউড তারকা যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁদের টিকিট পাওয়ার জল্পনা ছিল আগে থেকেই। শুক্রবার, দুপুর দুটো নাগাদ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন তৃণমূল (Tmc) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)।

বারাকপুরে ঘাসফুলের প্রার্থী হিসেবে পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, জয় তো নিশ্চিত! ভোটের সময়ে উত্তপ্ত থাকে বারাকপুর। এমন কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোটা চ্যালেঞ্জের। তিনি রও বলেন, ওই এলাকায় বড় হওয়ার জন্য সেখানকার সব রাস্তাই তাঁর চেনা। সঙ্গে তিনি একটি আবেদন করেন,অন্যান্য প্রার্থীদের মতোই তাঁদের দেখা হোক।

আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বসিত সায়নী বলেন, এখনই আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে চলে যেতে চান তিনি। সেখানে মানুষের জন্য কাজ শুরু করে দিতে চান। বাবুল সুপ্রিয়র গড় বলে পরিচিত আসানসোল।

আরও পড়ুন-টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ আরাবুল-দীপেন্দু

উত্তরপাড়া কেন্দ্রে ‘হাত নেড়ে’ কাজ করতে চান না কাঞ্চন মল্লিক। মানুষের মাঝে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত হিসেবে কাজ করতে চান তিনি।

মাত্র দু’দিন আগেই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। তাঁর প্রচার কৌশল আবার “ক্রমশ প্রকাশ্য”। তার আগে পুরো বিষয়টি বুঝে তারপর কোমর বেঁধে প্রচারের কাজ শুরু করবেন নিজের বাঁকুড়া কেন্দ্রে।

২০১১ সাল থেকে তাঁর ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে নানা কথা শোনা গিয়েছে। অবশেষে মেদিনীপুর সদর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন জুন মালিয়া (June Malia)। মহিষাদল রাজবাড়ির মেয়ে তিনি, তাই তাঁর কাছে এই কেন্দ্র নিজের পরিবারের মতো বলেই জানান জুন।

তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার ঠিক একদিন আগে অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সি। রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হলেন তিনি। ‘হৃদমাঝারে’ গান গেয়ে গতকালও শুরু করেছেন পথচলা, আজও একই গান গাইলেন। সঙ্গে বললেন, হৃদয় দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি।

তবে এই তারকা এবার রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন, কিন্তু তা আর এখন মনে করতে চাইছেন না। এবারও বারাসত কেন্দ্র পেয়ে খুশি চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty)।

চন্ডীপুর এলাকার প্রার্থী হতে পেরে ভীষণ খুশি সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। তিনি জানান, বাংলা বাঁচানোর এই লড়াইয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরবেন।

Advt

Previous articleটিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ আরাবুল-দীপেন্দু
Next articleরাজ্যে ফেরাবেন বিধান পরিষদ, প্রতিশ্রুতি মমতার