কোনও ধামাকা নেই, মিঠুনের যোগদানে শুধু মুখ রক্ষা মোদি ব্রিগেডের

বিষয়টিকে বলা যায় ‘বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া’। নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে প্রচুর ঢাকঢোল পিটিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। নেতৃত্বের দাবি ছিল, চমকে ভরা থাকবে ব্রিগেডের মঞ্চ। ভোটের আগে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল, হয়তো হেভিওয়েট নেতানেত্রীদের দলবদল বা বিভিন্ন ক্ষেত্রের মহাতারকাদের দলে যোগদান করে চমক দেবে বিজেপি। অনেকের ধারণা ছিল, হয়তো এই সভা থেকেই বাংলায় বিজেপির মুখ কে? সেটা জানাবেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল, বহু চর্চিত এবং আগাম খবর থাকা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) বিজেপিতে (Bjp) যোগদান ছাড়া কোনও ধামাকা ঘটল না।

শুধু তাই নয়, মিঠুনকে ভোটে দাঁড় করানো হবে কি না? বা বাংলায় তিনি মোদির ব্রিগেডের মুখ কি না? সে কথাও বলা হয়নি।

আর যোগদানের পরে মিঠুন চক্রবর্তীর তার ভাষণ একেবারেই রাজনীতিবিদ সুলভ নয়। অথচ রাজনীতির আঙিনা মিঠুনের কাছে নতুন নয়। নকশাল আমলে তিনি সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তারপর বাম জমানায় সিপিআইএম (Cpim) ঘনিষ্ঠ। তৃণমূল (Tmc) সরকারের আমলে তিনি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন, প্রচার করেছেন, তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন। এবার পদ্ম শিবিরে। কিন্তু এদিন মিঠুনের ভাষণ ছিল একেবারেই অভিনেতা সুলভ। কেন রাজনীতির রং বদল? কী উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি গেরুয়া শিবিরে এলেন? কী করতে চান? তার কোন দিশা ছিল না এদিন মহাগুরুর ভাষণে। রাজনৈতিক স্লোগানের বদলে আওড়েছেন জনপ্রিয় বাংলা ছবির বহু প্রচলিত ডায়লগ।

শুধু তাই নয়, একাই যোগ দিলেন মিঠুন। তাঁর সঙ্গে আর কোনও বড় তারকাকে বিজেপির মঞ্চে দেখা গেল না। রাজনৈতিক মহলের মতে, মিঠুনকে সামনে রেখে গায়ে বাঙালি তকমা সাঁটতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই বাঙালি সুপারস্টারকে সামনে আনা হল। আসলে তাদের লক্ষ্য ছিলেন বাঙালির আইকন আরেক ‘দাদা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Gangopadyay)। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায়, শেষ পর্যন্ত মিঠুনকে দিয়ে মুখ রক্ষা করতে হল বিজেপির। তবে সেখানেও মিঠুনের বক্তব্য রাজনীতির ছোঁয়া না পেয়ে হতাশ অনেকে। সভায় ভিড় কম হওয়া, বিশৃঙ্খলা- এসব ছাপিয়ে মঞ্চের চমক বড় হয়ে উঠতে পারল না মোদির রবিবাসরীয় ব্রিগেডে।

Advt