অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে সিঁড়ি দিয়ে না উঠে লিফট কেন? উঠছে প্রশ্ন

কেন ব্যবহার করা হয়েছিল লিফট দুটি? ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে কে লিফট ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন? গতকাল রেলের বহুতল অফিসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই এইসব হাজারো প্রশ্ন উঠে আসছে। যার অধিকাংশের উত্তর মিলছে না। দু’টি লিফটের মধ্যে আটকে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে সনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার পার্থসারথি মণ্ডল, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী আরপিএফ কনস্টেবল সঞ্জয় সাহানি, দমকল আধিকারিক গিরিশ দে ও তিন দমকল কর্মী গৌরব বেজ, অনিরুদ্ধ জানা, বিমান পুরকাইত গৌরব বেজ, অনিরুদ্ধ জানা, বিমান পুরকাইত, হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই অমিত ভাওয়াল ও রেল কর্মী সারান পান্ডে।

সিঁড়ি থাকতেও কেন দমকল কর্মীরা লিফট ব্যবহার করেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। তবে তাঁর ব্যাখ্যা দিলেন এ প্রসঙ্গে ডিভিশন্যাল ফায়ার অফিসার বলেছেন, “লিফটটা স্পেশ্যালি চালানো হয়েছিল আমাদের জন্য। এই ধরনের বহুতলে লিফট ছাড়া ফায়ার ফাইটিং করা খুব মুশকিল। অনেক যন্ত্রপাতি ওপরে নিয়ে যাওয়ার ছিল। গাইড করছিলেন পুলিশ অফিসার, রেলের কর্তারাও। ওদেরই সিস্টেম কাজ করেনি।”

 

 

 

 

লিফট কেন বন্ধ হয়নি? দমকলের এক কর্তা জানালেন, ফায়ার লিফট বলে সব জায়গায় একটা ব্যবস্থা থাকে। এখানে কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। একটা মিস কমিউনিকেশন, মিস ইমপ্লিমেনটেশন হয়েছে।”

তাঁর বক্তব্য, “১৩ তলায় আগুন লেগেছে। ১০ তলা পর্যন্ত যেটা হওয়ার, সেটা ম্যানুয়াল হলেই ভাল হত। সিঁড়ি ব্যবহার করাই ভাল। সাধারণত আমরা এই ধরনের পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতেই বলি। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে রেলের আধিকারিকরা কী বলেছেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।”

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সার্ভার রুমের ল্যাব থেকে শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Advt

 

Previous articleস্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ডে মুকুল রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ রেল কর্মীদের
Next articleরাজ্যে ৮ দফায় ভোট কেন? জনস্বার্থ মামলা খারিজ শীর্ষ আদালতে