কোভ্যাক্সিন কতটা নিরাপদ? জানল আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নাল

একসময় প্রশ্ন উঠে ছিল ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন কতটা নিরাপদ। আদৌ কি নিরাপদ? ভারতে ইতিমধ্যে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে কোভ্যাক্সিনকে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নাল ল্যান্সেট-এ। সঙ্গে আরও বলা হয়েছে ভারত বায়োটেক-এর করোনা ভ্যাক্সিন নিরাপদ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

রিপোর্টের শুরুতে বলা হয়েছে,’প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর BBV152-এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও কতটা নিরাপদ তাই নিয়ে আমরা অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পেশ করতে চলেছি।’ ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, দ্বিতীয় ডোজের তিন মাস পরেও কোভ্যাক্সিনের প্রভাবে শরীরের করোনা প্রতিরোধকারী শক্তিশালী অ্যান্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে। দ্বিতীয় দফারর ট্রায়ালেও ভালো ফল মিলেছে কোভ্যাক্সিনের। এছাড়াও কোভ্যাক্সিন স্থানান্তর ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আদর্শ তাপমাত্রাও যাচাই করা হয়। সেই অনুযায়ী ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখলেই ভালো থাকবে কোভ্যাক্সিন। সাধারণত এই তাপমাত্রায় বেশ কিছু টিকা ও ওষুধ সংরক্ষণ করা হয়।

আরও পড়ুন-উদ্বেগ বাড়ছে, শহরে ব্রিটেনের করোনা-স্ট্রেন মিলেছে আরও ৪ জনের শরীরে, আক্রান্ত বেড়ে ১০

ল্যান্সেটের এই ট্রায়ালে অনেকেই অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ১২-১৮ বছর ও ৫৫-৬৫ বছরের স্বেচ্ছাসেবীরা ছিলেন। ল্যান্সেট জানিয়েছে, এর পরবর্তী পর্যায়ের স্টাডি হিসাবে ৬৫-র ঊর্ধ্বে ও শিশুদের নিয়ে ট্রায়াল প্রয়োজন। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন জাতির মানুষের উপরেও এই পরীক্ষা করা উচিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি মাসেই কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ৮১% বলে দাবি করেছে ভারত বায়োটেক।

Advt

Previous articleউত্তরাখণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজ শপথ নেবেন বিজেপি সাংসদ তীর্থ সিং রাওয়াত
Next articleনন্দীগ্রামে বিজেপির প্রচারে আদৌ কী হালে পানি পাবে ‘জাত গোখরো’? সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাঙ্গাত্মক মিমের বন্যা!