মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ‘হামলা’র কটাক্ষ তেজস্বী-অখিলেশের, দ্রুত আরোগ্য কামনায় টুইট কেজরিওয়াল-নবীনের

রাজ্যের পাশাপাশি এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ওড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়ক থেকে শুরু করে জম্মু–কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।  গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর হাসপাতালে ভর্তির খবর পেতেই তাঁর ‘আরোগ্য কামনা’ করে টুইট করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাশাপাশি ‘‌হামলা’‌র অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেন তিনি। টুইটে কেজরিওয়াল লেখেন, ‘যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা দরকার।’‌

অন্যদিকে ওড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়ক টুইটারে লেখেন, ‘‌পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি জেনে খুবই উদ্বিগ্ন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।’‌ পাশাপাশি জন্ম-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার টুইটে লেখেন, ‘‌প্রচারের সময়ে মমতা ব্যানার্জির উপর হামলার ঘটনা আমার বাবাও নিন্দা করছেন। রাজনীতির লড়াইয়ে শারীরিক হিংসা না হওয়াটাই কাম্য এবং আশাও করছি সেটাই হবে, নির্বাচন কমিশন একদম গোড়া থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে আশা করছি’।‌

এদিকে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তেজস্বী লেখেন, ‘‌গুণ্ডা লাগিয়ে মমতা ব্যানার্জিকে যেভাবে আক্রমণ করা হল, তার কড়া নিন্দা করছি। বাংলার রাজ্য পুলিশ এখন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যাদের নির্দেশ দেয় বিজেপিই। যাঁদের গণতন্ত্রের উপর কোনও বিশ্বাস নেই, পরাজয় নিশ্চিত জানলে তারা যে কোনও পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।’‌ কংগ্রেস নেতা অখিলেশ যাদব বলেন, ‘‌মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত খুবই দুঃখজনক। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। তদন্তের খাতিরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়া হোক।’‌

নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশের দিনই আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে নন্দীগ্রাম থেকে দ্রুত গ্রিন করিডোর করে কলকাতা নিয়ে আসা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে(chief minister)। রাতে মেডিকেল বোর্ড(medical board) গঠন করে এসএসকেএম হাসপাতালে শুরু হয় চিকিৎসা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের তরফে মমতার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে নাটক বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। তবে বিরোধীদের এহেন দাবিতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্যবাসী। পাল্টা তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে বিজেপির কোনও কর্মী ইচ্ছাকৃতভাবে মমতাকে ধাক্কা দিয়েছেন। এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার তদন্ত চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদনও করা হয়েছে।

Advt

Previous articleকরোনায় আক্রান্ত সুনীল ছেত্রী
Next articleনেত্রীর উপর হামলা: দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাবে তৃণমৃল