অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার নিয়ে ছ’বছরে আগেই রেলকে সুপারিশ দিয়েছিল দমকল

রেলের নিউ কয়লাঘাট ব্লিডিংয়ের আগুন লাগার বিষয়টি নিয়ে উঠে এল গুরুত্বপূর্ণ  তথ্য। দমকল বিভাগের দাবি, অগ্নিনির্বাপনণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বছর ছয়েক আগেই একাধিক সুপারিশ করেছিল তারা।  কিন্ত কাজ হয়নি তাতে। এমনকি চিঠির উত্তরই দেয়নি রেলকর্তৃপক্ষ। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে যে কী ব্যবস্থা রেল নিয়েছিল সেই আলোচনাও দমকলকর্তাদের সঙ্গে করেননি রেলআধিকারিকরা।  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়  ন’জনের প্রাণ চলে যাওয়ার পর সেই ফাইল নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।  শুরু হয়েছে তদন্তও।  দমকল বিভাগের সুপারিশ কতটা মানা হয়েছিল, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন দমকলের অফিসাররা। যদিও এপ্রসঙ্গে রেলকর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করা হলে তাঁদের জনসংগযোগ আধিকারিক জানান, সেই পুরনো সুপারিশে কী কী সঠিক ছিল তা খতিয়ে দেখা হবে।এবার আগুন নেভানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে।

নিউ কয়লাঘাট ব্লিডিং-এর বিধ্বংসী আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকলবাহিনীকে। দেখা যায় হাইড্রান্ট করা থাকলেও পাম্প লাগানো নেই। এমনকী কোনও ফ্লোরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মেশিনও নেই। দমকল বিভাগের পাঠানো সুপারিশে এই পুরো বিষয়টি আগে থেকেই বলা হয়েছিল। রেলকর্তৃপক্ষকে তারা আগে থেকেই সতর্ক করেছিল কয়লাঘাটের বিল্ডিংটি বেশ পুরনো। তাই সেখানে উপরে জল তোলার জন্য তিন ধরণের পাম্প লাগানোর কথা বলা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরও যাতে জল উপরের ট্যাঙ্কে তোলা যায়, সেজন্য ডিজেল চালিত পাম্পের কথাও বলা হয়। একইসঙ্গে বলা হয়েছিল, প্রতিটি ফ্লোরে কয়েক হাজার গ্যালন জল ধরে এমন পাম্প , এমনকি জলাধার করারও সুপারিশ করা হয়েছিল। দমকলের বক্তব্য, এই সুপারিশ কতটা মানা হয়েছিল, তার ‘ফিডব্যাক’ এখনও পাননি তারা।

Advt

Previous articleকয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের অগ্নিকাণ্ড : অনিরুদ্ধর নামে পুরস্কার চালুর ভাবনা স্কুলের
Next articleসোমবার থেকে ফের নির্বাচনী প্রচারে মমতা!