Thursday, August 28, 2025

বিশ্বের উষ্ণায়নের প্রভাব আছড়ে পড়েছে ইউরোপের(EUROPE) ওপরও। বছরের পর বছর হওয়া খরায় তার প্রমাণ। গোটা ইউরোপ মহাদেশে তাপপ্রবাহের ঘটনা ও তীব্রতা এতটাই বেড়েছে যে তা গত ২ হাজার বছরের রেকর্ডকেও ভেঙে দিয়েছে। আর এর জন্য দায়ী স্বয়ং মানুষই। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক একটি বিজ্ঞান গবেষণাপত্র ‘নেচার জিওসায়েন্স’(Nature Geoscience)-এ এই নিয়ে একটি পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
২০১৮ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার উর্ধ্বগতি খতিয়ে দেখেন গবেষকরা। তাঁরা বলছেন ২০১৯- ২০২১ সালে তাপমাত্রার তিব্রতা উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও আগের তুলনায় বর্তমানে আর্দ্রতার(Moisture) পরিমাণও অনেকটাই কমে গিয়েছে। ২ হাজার বছর আগের তাপমাত্রা কেমন ছিল তা বোঝার জন্য রোমান সাম্রাজ্যের সময়কার ১৪৭টি ওক গাছের ২৭ হাজার গুঁড়ির রিং পরীক্ষা করেছিলেন গবেষকরা। গাছের গুঁড়িতে একটি বিন্দুকে কেন্দ্র করে তার চার দিকে উত্তরোত্তর বড় ব্যাসের যে বলয় দেখা যায়, তার সংখ্যার নিরিখেই গাছের বয়স নির্ধারণ করা হয়। তাপমাত্রা বাড়া-কমার সঙ্গে সঙ্গে সেই বলয়গুলির আকার ও একটি থেকে পরেরটির দূরত্ব বেড়ে যায়। আধুনিক সময়ের বিশ্বের গড় তাপমাত্রার হেরফের বুঝতে এখনকার ওক গাছগুলির গুঁড়ি পরীক্ষা করেছিলেন গবেষকরা। মধ্যযুগের সময়টাকে বুঝতে তাঁরা নদীর তলদেশে থাকা ওক গাছের অবশেষ পরীক্ষা করেছিলেন। আর রোমান(Roman) সাম্রাজ্যের সময়কার গড় তাপমাত্রার পরিবর্তনের গতিপ্রকৃতি বুঝতে গবেষকরা সেই কূপগুলি পরীক্ষা করেছিলেন যেগুলি অতীতে ওক গাছ দিয়েই বানানো হয়েছিল।কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গবেষক অধ্যাপক উল্‌ফ বুনজেন বলেছেন, ‘‘আমরা গত ২ হাজার বছরে এক অবিশ্বাস্য ও উদ্বেগজনক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি।’’

গবেষণাপত্রটি জানানো হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেভাবে বেড়ে চলেছে, তা সত্যিই উদ্বেগজনক। এমনকি ফসল নষ্ট, দাবানলের সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শুধু তাই নয়, আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠার কারণও সৌরচক্রের চরিত্রের পরিবর্তনের জন্য হচ্ছে না। বরং গ্রিণ গ্যাসের নির্গমন এতটাই বৃদ্ধই পেয়েছে যে প্রাকৃতিক দূর্যোগ সে কারণেই নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version