ফিরে আসছে ২০২০ সালের অতিমারির ভয়ানক স্মৃতি। ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার গ্রাফ ঊর্ধমুখী। মহারাষ্ট্র সহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা যাচ্ছে বুধবার হবে এই বৈঠক।
প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ। টিকাকরণ দ্রুতগতিতে চললেও বাঁধ মানছে না করোনা। প্রায় ১০ হাজার দৈনিক সংক্রমণ থেকে আচমকা এক লাফে সারা দেশে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ২৬ হাজারেরও কোটায়। ৮৫ দিনে সর্বোচ্চ। গত রবিবার ২৬ হাজারের গণ্ডি পেরোয় দৈনিক কেসের সংখ্যা, যেটা ডিসেম্বর ১৯-এর পর সর্বোচ্চ। বুধবার দুপুরে মোদি ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন : মীরজাফররা চলে গিয়েছে, বেঁচে গিয়েছি: দলত্যাগীদের তীব্র কটাক্ষ মমতার
তবে কি দেশে আবার লকডাউনের পরিস্থিতি হবে? করোনা দমন প্রসঙ্গে মোদির সঙ্গে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে কী আলোচনা হয়, তা দেখার। ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কিছু অংশে জারি হয়েছে পূর্ণ লকডাউন। মুসৌরি শহরের একাধিক অংশে নতুন করে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের গালওয়ে কটেজ, সেন্ট জর্জ স্কুল, বার্লো গঞ্জ এলাকায় পুরোপুরি শাটডাউনের অর্ডার দিয়েছে প্রশাসন। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া কোনও দোকান খোলা রাখা যাবে না মুসৌরির এই অংশে। আরও সঙ্কটজনক মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি। হু হু করে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। ১৫ মার্চ থেকে নাগপুরে জারি হয়েছে পূর্ণ লকডাউন। চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। গত দু’দিন ঔরঙ্গাবাদেও ছিল লকডাউন। শুধু মহারাষ্ট্র বা গুজরাটে নয়, করোনা বাড়ছে এই পশ্চিমবঙ্গেও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বলছে, দেশের আট রাজ্যে লাগামছাড়া করোনা। মহারাষ্ট্র ছাড়াও সে তালিকায় নাম রয়েছে তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, কর্ণাটক এবং হরিয়ানা। দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৫৮,৭২৫। মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের।