একই কেন্দ্রের যে কোনও ভোটার হতে পারেন পোলিং এজেন্ট, কমিশনের নয়া নির্দেশে বিতর্ক

একুশের নির্বাচনে বুথে বুথে প্রার্থীদের ‘পোলিং- এজেন্ট’ নিয়োগের বিধি বদল করলো নির্বাচন কমিশন (ECI)à§· অভিযোগ উঠেছে, এই নতুন নির্দেশ বিজেপিকে (BJP) সাহায্য করার জন্যই জারি করা হয়েছে৷ বাংলার সব বুথে পোলিং- এজেন্ট (Polling Agent) বসানোর কর্মী নেই বিজেপির৷ তাই গেরুয়া শিবিরকে বাড়তি সুবিধা দিতেই নতুন এই নির্দেশিকা কমিশনের৷

কমিশনের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও ভোটার ওই কেন্দ্রের কোনও প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হতে পারবেন৷
২০০৯ সাল থেকেই নিয়ম ছিলো, কোনও কেন্দ্রের কোনও বুথে কোনও প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে ওই বুথ বা তার লাগোয়া কোনও বুথের ভোটার হতে হবে। এর বাইরে কেউই পোলিং এজেন্ট হতে পারবেন না৷

আরও পড়ুন-কী কারণে ব্যাহত হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকের পরিষেবা?

কিন্তু এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট নিয়োগের বিধি শিথিল করে দিলো কমিশন। এবার নির্দিষ্ট বুথে এজেন্ট খুঁজে না পেলে বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত যে কোনও ভোটারকে এজেন্ট করতে পারবেন প্রার্থীরা। বিজেপি-বিরোধী দলগুলি এই সংশোধনীর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, কমিশন বিজেপির কথায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ বিজেপির পক্ষে লক্ষাধিক বুথে এজেন্ট বসানো সম্ভব নয়৷ বুথভিত্তিক এত কর্মীই নেই৷ তাই বিজেপিকে সুবিধা দেওয়া হলো নতুন এই নির্দেশিকায়৷ কমিশনের নতুন নিয়মে বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও ভোটার ওই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত যে কোনও বুথে এজেন্ট হতে পারবেন। অনেক সময় ছোট রাজনৈতিক দলগুলি নির্দিষ্ট কোনও বুথে এজেন্ট দিতে পারে না। অনেক সময় রাজনৈতিক হিংসার শিকার হওয়ার ভয়ে কেউ নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের এজেন্ট হতে চান না। কমিশনের এই নির্দেশে সেই সমস্যা দূর হবে বলে অনেকে মনে করছেন।
ওদিকে, কমিশন সাফাই দিয়েছে, করোনা-কারনে এবার বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তাই বিধি শিথিল করা হয়েছে৷