‘এখানে ও দাঁড়ালে ভবঘুরেরাও ভোট দিতেন না’, রত্নার পাশে দাঁড়িয়ে বললেন শোভনের দাদা

একসময়ে এই কেন্দ্র থেকেই লড়তেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ সেই বেহালা- পূর্ব কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় রত্নার পাশেই ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovon Chatterjee) দাদা, চন্দন চট্টোপাধ্যায় (Chandan Chatterjee) ৷ পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট৷ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রত্যেক বার ভাই শোভনের পাশে থাকতেন চন্দনবাবু।

এ বার থাকলেন ভ্রাতৃবধূ রত্নার পাশে। স্ত্রী রত্নাকে ছেড়ে ‘বিশেষ বান্ধবী’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চলে গিয়েছেন স্বামী শোভন। কিন্তু স্বামীর পরিবার এখনও রত্নার পাশে। শোভনের পুরনো কেন্দ্র বেহালা-পূর্বের জন্য মনোনয়নপত্র জমার সময় রত্না চট্টোপাধ্যায়ের পাশে থাকলেন শোভনের দাদা চন্দন চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন শোভন-রত্নার পুত্র সপ্তর্ষিও (Saptarshi)৷ আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সদরের প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন দাখিল-পর্ব মিটে যাওয়ার পর ভ্রাতৃবধূ রত্নার পাশে দাঁড়িয়ে শোভনের দাদা চন্দন বলেছেন, “এবার যদি বেহালা-পূর্ব থেকে বিজেপি শোভনকে দাঁড় করাতো, তাহলে রাস্তার ভবঘুরেরাও ওকে ভোট দিতেন না। এখানে রত্না’ই জিতবে। আমাদের বাড়ির বধূ হিসেবে নয়, রত্না জিতবে তৃণমূল প্রার্থী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে।” পাশাপাশি শোভন-পুত্র সপ্তর্ষি বলেন, “আমরা রাজা-রানির গল্প পড়েছি। গত ৪ বছর ধরে রানির লড়াই দেখছি। রাজা রণে ভঙ্গ দিয়ে পালিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আশীর্বাদধন্য রানি রাস্তায় নেমে লড়াই করছেন। রাজ্যের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার মাকে জানেন, চেনেন বলেই তাঁকে বেহালা-পূর্বের দায়িত্ব দিয়েছেন।”

আরও পড়ুন:‘টুম্পা সোনা’ থেকে শুরু এবার জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইনকে প্রচারে ব্যবহার বামেদের

Advt

 

Previous article‘টুম্পা সোনা’ থেকে শুরু এবার জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইনকে প্রচারে ব্যবহার বামেদের
Next article‘৫ বছর সুযোগ দিন, ৭০ বছরের ভুল শুধরে সোনার বাংলা গড়ব’, খড়্গপুরে বললেন মোদি