বাংলায় প্রথম দফার নির্বাচন ২৭ মার্চ। তার ঠিক ৬ দিন আগে রবিবার ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে উপস্থিত হয় বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার(সংকল্পপত্র) প্রকাশ করলেন দলের প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ(Amit Shah)। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অমিত শাহ বলেন, বিজেপি সর্বদা সংকল্প পত্রকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়েছে। আর এই সংকল্প পথের উপর ভিত্তি করেই সরকার চালিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে সোনার বাংলা(Sonar Bangla) কিভাবে আমরা তৈরী করব তার পূর্ণ বিবরণ রয়েছে এই সংকল্প পত্রে। পাশাপাশি এটাও স্মরণ করিয়ে দেন সোনার বাংলা কোনও অলীক কল্পনা নয়। রাজ্যের সব শ্রেণীর মানুষের মতামত নিয়েই তৈরি করা হয়েছে এই সংকল্প পত্র।
এরপরই একুশের নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিজেপির প্রকাশিত সংকল্প পত্র পাঠ করেন অমিত শাহ। যেখানে দেখা গেল সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে গেরুয়া শিবিরের ঢালাও প্রতিশ্রুতি। বিজেপির প্রকাশিত সংকল্প পত্র অনুযায়ী…
- রাজ্য সরকারি চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ হবে। কিষাণ সম্মান নিধিতে বকেয়া ১৮ হাজার টাকা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার করা হবে। তারপর ১০ হাজার টাকা প্রতিবছর দেওয়া হবে কৃষকদের। পাশাপাশি, মৎস্যজীবীদের বছরে ৬ হাজার টাকা অনুদান। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের প্রত্যেক গরিবকে আনা হবে।
- অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করা হবে। সরস্বতী, দুর্গাপুজোর জন্য আদালতে যেতে হবে না। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
- কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত পঠনপাঠন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হবে
- সরকারি বাসে মহিলাদের যাতায়াত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
- রাজ্যে আরও ৩টি এইমস তৈরি হবে। ক্ষমতায় এসেই ৭ম বেতন কমিশন বসাবে বিজেপি সরকার।
- নোবেল পুরস্কারে মতই রাজ্যে টেগোর পুরস্কার চালু হবে।
- বিধবাদের পেনশন ১ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার করা হবে।
- মহিলাদের সুরক্ষায় পুলিশে পৃথক ব্যাটেলিয়ন চালু হবে।
- মৎস্যজীবীদের জন্য ৩ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমা। মৎস্যজীবীদের সব নৌকা যন্ত্রচালিত করা হবে।
- স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কাদম্বিনী গাঙ্গুলির নামে ১০ হাজার কোটির তহবিল। স্কুল পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের জন্য বিদ্যাসাগরের নামে ২০ হাজার কোটির তহবিল।
- রাজ্য সরকারি চাকরির জন্য কমন এলিজিবল টেস্ট চালু হবে।
- শৈলেন মান্না স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি তৈরি করা হবে। আধাসেনায় নারায়ণী সেনা ব্যাটালিয়ন চালু হবে। রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা নিশ্চিহ্ন করার প্রতিশ্রুতি বিজেপি ইশতেহারে।
আমফান, বুলবুলে দুর্নীতিতে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসএমই-তে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্যারান্টার ছাড়াই ঋণ। সি ফুড প্রসেসিং পার্ক তৈরি হবে। - শহরে পরিকাঠামো উন্নয়নে ৩০ হাজার কোটি বরাদ্দ হবে।
- বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের তৈরি হবে।
- গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তুলতে ২৫০০ কোটির তহবিল।
- সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার আবশ্যিক করার চেষ্টা। মাধ্যম যাই হোক, দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক হবে বাংলা ভাষা।
- শান্তিনিকেতনকে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা দিতে ১৫০ কোটি বরাদ্দ হবে।
- বাংলায় মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রশ্ন। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মনীষীদের জন্য চেয়ার থাকবে।
- টলিউডের কলাকুশলীদের সাহায্য করা হবে। রাজ্যে ৯টি পৃথক পর্যটন সার্কিট তৈরি হবে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অন্নপূর্ণা ক্যান্টিন চালু হবে। ৫ টাকায় ৩ বেলার আহারের ব্যবস্থা হবে।
এসসি, এসটি সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হবে। - উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হবে। চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩৫০ করা হবে।
আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য মডেল স্কুল তৈরি হবে।