Thursday, November 13, 2025

বঙ্গ-বিজেপির নেতাদের এড়িয়ে রাজ্য সফর কেন করছেন মোদি-শাহ? জল্পনা তুঙ্গে

Date:

Share post:

বাঁকুড়ায় রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা হয়েছে৷ আর একইদিনে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় সভা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷

অথচ রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির কোনও নেতা-নেত্রীকেই ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি দুই ভিভিআইপি মঞ্চে৷

বাঁকুড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের মাঝের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর৷ রবিবার ওই জেলাতেই প্রচারে ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)৷ সহজেই তিনি মোদি (Modi) বা শাহের (Shah) সভায় থাকতে পারতেন৷ কিন্তু সে দৃশ্য দেখা যায়নি৷ মোদির সভায় একমাত্র দেখা গিয়েছে দলের যুব সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

ওদিকে শাহের সভাস্থল থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে পটাশপুরে রবিবার সভা করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এগরায় শাহি-মঞ্চে এদিন হাজির ছিলেন শিশির অধিকারী৷ রাজ্য রাজনীতিতে বড় ঘটনা এটি৷ অথচ বিস্ময়কর, এই মঞ্চে ছিলেন না শিশির-পুত্র শুভেন্দু৷ ছিলেন শুধুই কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

মোদি বা শাহের মঞ্চের ত্রিসীমানায় রবিবার দেখা যায়নি রাজ্য বিজেপির কোনও নেতাকেই৷ অথচ বড় সব নেতাই ছিলেন কাছাকাছি৷ এতটাই কাছে যে, মোদি-শাহের সভায় হাজির থাকলেও তাঁদের নির্দিষ্ট প্রচার কর্মসূচি বিঘ্নিত হতোনা৷ তবুও কোথাও কাউকে দেখা যায়নি৷ এই বেনজির ঘটনা তাৎক্ষনিকভাবে ধরা যায়নি৷ পরে, বোঝার পর, শোরগোল উঠেছে বিজেপির অন্দরে৷ প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য নেতৃত্বের কোনও প্রথম সারির কোনও মুখকেই কেন থাকতে দেওয়া হলো না ভিভিআইপি মঞ্চে? ওদিকে, কোনও সভায় দেখা না গেলেও, সন্ধ্যায় দলের ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে অমিত শাহের পাশেই কিন্তু ছিলেন দিলীপ ঘোষ।

গেরুয়া-সূত্রে খবর, এটাই না’কি বিজেপির নয়া প্রচার-কৌশল। মোদি বা শাহ’র সভামঞ্চে রাজ্য নেতাদের ভিড় করতে নিষেধ করা হয়েছে। মঞ্চে ভিড় না করে ওই সময়ে নেতাদের অন্যত্র প্রচার চালাতে বলা হয়েছে৷ যে সব নেতা প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের বলা হয়েছে, নিজের বিধানসভা এলাকা ছেড়ে মোদি- শাহের সভামঞ্চে হাজিরা দিয়ে সময় নষ্ট না করতে৷ সে কারনেই ভোটে প্রার্থী হওয়া সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্তরা যে যার নিজের নিজের কেন্দ্রে প্রচারে ছিলেন৷ বলা হয়েছে, যদি কখনও বিশেষ কোনও নেতা বা নেত্রীকে সভাস্থলে ডাকা হয়, একমাত্র তাহলেই আসবেন প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায়৷

এই নিয়ম যে শুধু রাজ্য নেতাদের জন্যই করা হয়েছে এমন নয়৷ জানা গিয়েছে, এই ‘বিধি’ অন্য রাজ্য থেকে সেই সময়ে বাংলায় প্রচারে আসা নেতা বা মন্ত্রীদের জন্যও একই৷ সেই কারনেই রবিবার রাজ্যে প্রচারে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা পুরুলিয়ায় সভা করলেও তাঁকে বাঁকুড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে থাকতে বলা হয়নি।

মঙ্গলবার ফের রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ৷ সভা করবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায়। পরের দিন, বুধবার কাঁথিতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মো‌দি। বিজেপি অন্দরের খবর, এই দুই ক্ষেত্রেও সংলগ্ন কেন্দ্রগুলির প্রার্থীরা ও জেলা নেতৃত্ব ছাড়া আর কাউকেই থাকতে বলা হচ্ছে না৷ তবে বিশেষ কোনও নেতাকে ডাকা হলে, তিনি থাকবেন৷

এখন দেখার, মোদি- শাহের পরবর্তী সভায় এই একই দৃশ্য দেখা যায় কি’না !

Advt

spot_img

Related articles

লাদাখে চালু হল বিশ্বের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি

১৩,৭০০ ফুট উচ্চতা নিয়ে বিশ্বের সেরা সামরিক বিমানঘাঁটি তৈরী হল এবার লাদাখে। লাদাখের চাংথাং নিওমা বিমানঘাঁটি বুধবার বায়ুসেনা...

আগামী বছর আরও বড় কিছু করব-Big Jump: “জনগণের উৎসব Kiff”-র সমাপ্তিতে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর 

“আমরা আগামী বছর আরও বড় কিছু করব…Big Jump“-৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আচমকা হাজির হয়ে...

কমিশনের হিসাবে ফর্ম পৌঁছে বিলিতে ১ নম্বর, তবু বাংলায় প্রশিক্ষণই অসম্পূর্ণ BLO-দের!

৪ নভেম্বর থেকে দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ইউনিমারেশনের কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। ১১ নভেম্বরের মধ্যে...

বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি, মৃত্যু শ্রমিকদের, আহত বহু

বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাবাঁকি জেলা। বৃহস্পতিবার বিকেলে আচমকা বিস্ফোরণ (Blast) হয় বাজি...