মুম্বইয়ের কোভিড হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারবর্গের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আগুন লাগে মুম্বইয়ের ভান্ডুপে ড্রিমস মলের মধ্যে থাকা এক হাসপাতালে। আগুন লাগার খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ঘটনাস্থলে যান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “রোগীদের উদ্ধার করার ব্যাপারে দমকলকর্মীরা অসাধারণ কাজ করেছেন। কিন্তু যাঁরা ভেন্টিলেটরে ছিলেন, তাঁদের উদ্ধার করা যায়নি। আমি ওই সব পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
বাংলাদেশে ২ দিনের সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে তিনি আগুনের ঘটনায় মৃত্যুর খবর শুনে ব্যথিত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা করছেন।

উদ্ধব ঠাকরে জানান, কোভিড রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালটি করা হয়েছিল। গত বছর যখন করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ে, তখন মেট্রো শহরগুলির মধ্যে সব চেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল মুম্বইয়ের। তখন হাসপাতালের শয্যা ও জীবনদায়ী চিকিৎসা-সরঞ্জামের খুব সংকট চলছিল। আগামী ৩১ মার্চ এই হাসপাতালের পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্রাথমিক খবরে জানা গিয়েছে মলের একটি দোকানে প্রথম আগুন লাগে, হাসপাতালে নয়। “তবে আমি এটুকু নিশ্চিত করে বলতে চাই, দোষ যাদেরই হোক, তারা শাস্তি পাবেই”, মুখ্যমন্ত্রী বলেন।


আরও পড়ুন-মুম্বইয়ে কোভিড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা ৫৯ নাগাদ আগুন লাগে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৭৫-এর বেশি কোভিড রোগী। তার মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের সেখান থেকে উদ্ধার করে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২২ ইঞ্জিন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেদনেকর। মলের ভিতর হাসপাতালের বিষয়টি রীতিমতো বিস্মিত করেছে তাঁকে। তিনি বলেছেন, “আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে মলের ভিতর হাসপাতাল এই প্রথম দেখলাম। খুব গুরুতর পরিস্থিতি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।” যদিও কী থেকে এই আগুন লেগেছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অজানা। এই মূহুর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে মহারাষ্ট্রে। মুম্বইয়ে বৃহস্পতিবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজারের বেশি।
