আমার জীবনের প্রথম আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ, যার জন্য জেলেও যেতে হয়: মুজিব শতবর্ষে মোদি

খায়রুল আলম, ঢাকা: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের(Shekh Mujibur Rahman) জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে বাংলাদেশে। আর সেই উৎসব উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। সেখানেই বাংলাদেশ সরকারের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে এটাও বলেন, তার জীবনের প্রথম আন্দোলন এই মুক্তিযুদ্ধ। যার জন্য জেলেও যেতে হয় তাঁকে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যে ভারতে কী ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল তার উদাহরণ টেনে নিজের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা আমার জীবনের প্রথম আন্দোলন। এটা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমার বয়স তখন ২০-২২ বছর। সেই সময় আমি ও আমার কয়েকজন সঙ্গী মিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সত্যাগ্রহ করেছিলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সেই আন্দোলনে আমাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। এবং জেলে যেতে হয়েছিল আমাকে। অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যতখানি আকুতি এখানে ছিল ঠিক ততটাই ছিল ওখানেও। পাকিস্তানি সেনারা এখানে যে জঘন্য অপরাধ করেছিল তা শিউরে ওঠার মত।’

এর পাশাপাশি সম্প্রতি ভারতের তরফে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী শান্তি সম্মান দিতে পেরে আমরা গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের শহিদ এবং ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানাই।’ পাশাপাশি মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ঠিক করে দিয়েছিল, বাংলাদেশকে কোনও শক্তি আটকে রাখতে পারবে না।’ এছাড়াও এদিনের ভাষণে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রচেষ্টা সর্বজনবিধিত। পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম উপলক্ষে অটল বিহারি বাজপেয়ি বলেছিলেন, ‘আমরা ইতিহাস তৈরি করতে চলেছি’, সেকথা এদিন স্মরণ করানোর প্রধানমন্ত্রী মোদি।

আরও পড়ুন:কথা রাখেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিভীষণ হাঁসদার মেয়ের চিকিৎসা করানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন সায়ন্তিকা

তবে শুধু মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ নয় একইসঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর পালিত হচ্ছে আজ। এই প্রসঙ্গ স্মরণ করিয়ে প্রত্যেক ভারতবাসীর তরফ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেককে অভিনন্দন জানান নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আমরা দেখিয়েছি আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। ছিটমহল হস্তান্তর তারই প্রমাণ।’ পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির সময় দুই দেশের বোঝাপড়া অত্যন্ত ভালো ছিল বলে জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

Advt

Previous articleগরুর গাড়িতে ভোটের প্রচার লকেটের, বিঁধতে ছাড়লেন না বিরোধীরা
Next articleভোটের দিন নন্দীগ্রামেই থাকবেন মমতা