দ্বিতীয় দফার আগে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে কী বললেন মমতা

অন্তত ১ লক্ষ মানুষ রাস্তার দু ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। দেখে মন ভরে গেল।

•নন্দীগ্রামের মাটি সংগ্রামের মাটি

•আমি নন্দীগ্রামে কেন দাঁড়িয়েছি জানেন। আমি যেদিন এখানে সভা করতে এলাম দেখলাম সবাই খোল-করতাল নিয়ে নাচ-গান করছেন। তখন আমার মনে হল এখানে কি আমার দাঁড়ানো উচিত। তখনই আমি ঠিক করলাম এখন থেকে দাঁড়াব।

•এখন নন্দীগ্রামে কোনও বিধায়ক নেই। যাকে জিতিয়েছিলেন সে তো পালিয়েছে। আমি কিন্তু ভবানীপুর থেকে এখনও বিধায়ক। এ বার নন্দীগ্রামের বিধায়ক হব। ভবানীপুরের মানুষ খুব কষ্ট পেয়েছেন। আমি ওখানকার মানুষদের বুঝিয়েছি, এ বার আমি গ্রাম থেকে দাঁড়াতে চাই। আর গ্রাম থেকে দাঁড়ালে তো নন্দীগ্রামের থেকে ভাল কিছু হয় না।

•আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর আমাকে বলে কিনা বহিরাগত। ভাবুন।

•যার বাড়ি থেকে গুলি চলেছিল সেই নব সামন্তকে দলে নিয়েছে। এখন গদ্দারের ডান হাত হয়েছে। ওকে দায়িত্ব দিয়েছে বয়াল, গোকুলনগর দখল করার। দেখব কী করে দখল করে।

•আজকে হোম মিনিস্টারকে নিয়ে এসেছিল। পুলিশকে ধমকানো আর চমকানোর জন্য। আর তো ৪৮ ঘণ্টা। এই ৪৮ ঘণ্টা ঘুরে নে। তারপর তো পগার পার হতেই হবে। আর হলদি নদীর ধারে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন আমরাই থাকব।

•আমরা চাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হোক। তোমাদের তো এত টাকা। তাহলে ভয় দেখাচ্ছ কেন। তাহলে কি আগে থেকেই হেরে বসে আছ। গণভোট নিয়ে দেখ না। আমি তাতেও রাজি।

•১ এপ্রিল তো এমনিতেই এপ্রিল ফুল। সে দিন বিজেপিকে এপ্রিল ফুল করে দিন। আর সব ভোট আমাদের দিন।

•সকাল সকাল ভোট দিতে যাবেন। আর মাস্ক পরে যাবেন। মাস্ক না পরে থাকলে অনেক সময় সেন্ট্রাল ফোর্স বের করে দিচ্ছে। অনেক সময় গ্রামে গিয়ে বলছে বিজেপি-কে ভোট দিতে। বললেই রেকর্ড করে নেবেন। তারপর আমাকে পাঠাবেন।

•ওদের একটা প্ল্যান আছে। নিজেদের দলের একটা মেয়েকে মারবে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে যেসব গুন্ডাদের নিয়ে এসেছে ওদের দিয়ে অত্যাচার করাবে। তারপর পুরোটাই হিন্দু- মুসলমান করে দেবে। খেয়াল রাখবেন।

Advt

Previous articleএক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়তে চলেছে বিমান ভাড়া
Next article৪৩ লাখের গাড়ির মালিক সায়ন্তিকার ঋণের পরিমান ৪০ লক্ষ টাকা!