‘ভোটারদের আই-কার্ড দেখার অধিকার আধাসেনার নেই’, সুদীপ জৈনকে কড়া চিঠি মমতার

“ভোটারদের পরিচয়পত্র দেখার অধিকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নেই৷ কেন, কোন আইনে এ কাজ তাদের দিয়ে করানো হচ্ছে ?”

দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ হতেই দেশের উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে ( Sudip Jain) কড়া চিঠি লিখে কারন জানতে চাইলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর উত্তরে এখনও কিছু জানায়নি নির্বাচন কমিশন(ECI)৷

চিঠিতে তৃণমূল নেত্রী (TMC) দাবি করেছেন, নন্দীগ্রামের বেশ কিছু বুথে আধাসেনা বাহিনীর জওয়ানরা ভোটারদের কাছ থেকে পরিচয়পত্র দেখতে চায়৷। ভোটার- কার্ড না থাকলে যে কোনও ভোটার অন্য পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু অনেক বুথে ভোটার-কার্ড না থাকায় ভোটারদের ঢুকতে দেয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

এই চিঠিতে মমতা লিখেছেন, নিয়ম অনুযায়ী ভোটার কার্ড না থাকলেও একজন ভোটার সচিত্র ব্যাঙ্কের পাস বই, প্যান কার্ড, স্বাস্থ্যবিমার স্মার্ট কার্ড, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স-সহ একাধিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দিতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তির তারিখও উল্লেখ করে দিয়েছেন। এরপরই সুদীপ জৈনের কাছে মমতা জানতে চেয়েছেন,
“ভোটারদের কাছ থেকে পরিচয়পত্র দেখার অধিকার কি আদৌ কেন্দ্রীয় বাহিনীর আছে ? ভোটারদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখবেন তো সংশ্লিষ্ট বুথের প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং এজেন্টরা। তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এই কাজ করার দায়িত্ব কেবা কারা দিয়েছে ? কেন নন্দীগ্রামে আধাসেনা বাহিনীকে দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে ?”

এছাড়াও তৃণমূলনেত্রী কমিশনের পদস্থ এই আধিকারিককে জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের অনেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী একেবারে বুথের ভিতরে ঢুকে পড়েছিলো৷ নির্দিষ্ট বিধি উল্লেখ করে চিঠিতে মমতা লিখেছেন, যে কোনও বুথে যাতে স্বচ্ছ ও অবাধে ভোট হয় তা দেখার দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বুথের ভেতরে ঢোকার কোনও অনুমতি থাকে না। এবারও তেমন অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ তা সত্ত্বেও নন্দীগ্রামের বয়াল-এর ওই বুথ-সহ একাধিক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। মমতা জানতে চেয়েছেন, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের জন্য কমিশন কি আলাদাভাবে এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলো ? উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে একইসঙ্গে মমতা জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামে ছাপ্পা ভোট হয়েছে৷

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বয়ালের ওই ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পর তৃণমূল নেত্রী হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করে
স্পষ্ট দাবি করেন, ‘নির্বাচন কমিশন চলছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনে’। তিনি বলেছিলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কোনও দোষ নেই। অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ওদের যা নির্দেশ দিয়েছে ওরা সেটাই করছে। এখানে ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে।”

আরও পড়ুন:উত্তর থেকে দক্ষিণ হেভিওয়েট প্রচারে মমতা-অমিত-অভিষেক

Advt

Previous articleউত্তর থেকে দক্ষিণ হেভিওয়েট প্রচারে মমতা-অমিত-অভিষেক
Next article১৪ এপ্রিল আম্বেদকরের জন্মদিনকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় সরকার