অধিবেশন চলাকালীন স্পিকারকে জুতো ছুঁড়ে মারলেন বিজেপি বিধায়ক

বিধানসভা(assembly) অধিবেশন চলাকালীন স্পিকারকে লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়কের(BJP MLA) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওড়িশার রাজনীতিতে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ওড়িশার(Odisha) শাসক দল বিজু জনতা দল (বিজেডি)। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওড়িশা সরকারের মুখ্য সচেতক প্রমিলা মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিরোধী দলের তিন নেতা বিধায়ক বিষ্ণুর শেঠি(Bishnu Sethi), জয়নারায়ন মিশ্র(Jay Narayan Misra) এবং মোহন মাঝি বিধানসভার স্পিকারকে লক্ষ্য করে পোডিয়ামে জুতো, ইয়ারফোন এবং কাগজপত্র ছুঁড়ে মারেন।

আরও পড়ুন:বিহারে মদ খেয়ে মৃত ১৪, হৃদরোগের স্বীকারোক্তিতে পরিজনকে পুলিশি চাপের অভিযোগ

জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের ক্যাগ রিপোর্ট শনিবার পেশ করা হয়েছিল ওড়িশা বিধানসভায়। এই রিপোর্ট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী নিরঞ্জন পুজারী। রিপোর্ট পেশ হওয়ার পর কংগ্রেস সেই রিপোর্ট স্থগিত করার প্রস্তাব জমা দেয় স্পিকারের কাছে। তবে সে প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ তোলা হয় কোনরকম আলোচনা ছাড়া এই প্রস্তাব পাস করা গণতন্ত্রবিরোধী। বিধানসভা ভবনে গোটা বিষয়টি নিয়ে যখন রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে তখনই নিজের আসন থেকে উঠে আসেন বরিষ্ঠ বিধায়ক জয় নারায়ন মিশ্র। স্পিকারকে লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়েন তিনি। পাশাপাশি আরও দুই বিধায়ক কাগজ ছুড়ে মারেন স্পিকারকে লক্ষ্য করে। মুহূর্তে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

অবশ্য স্পিকারকে লক্ষ্য করে বিধায়কের এহেন আচরণের নিন্দা করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। কংগ্রেস বিধায়ক নরসিংহ মিশ্র জানান এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যদিও অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক জয় নারায়ন মিশ্র বলেন, ‘আমি জানি না স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে আমি কী ছুঁড়ে ছিলাম। তবে যাই ছুঁড়ে থাকি না কেন ভুল কিছু করিনি। বিধানসভার অধ্যক্ষ এই ধরনের ব্যবহার পাওয়ারই যোগ্য।’ পাশাপাশি অভিযুক্ত আরেক বিধায়ক বিষ্ণু শেঠি বলেন, ‘আমি জুতো ছুঁড়েনি শুধুমাত্র একটি পেন ও হেডফোন ছুড়েছিলাম।’

Advt

Previous articleবিহারে মদ খেয়ে মৃত ১৪, হৃদরোগের স্বীকারোক্তিতে পরিজনকে পুলিশি চাপের অভিযোগ
Next articleপেট্রোল বোমা নিয়ে ঘিরে ছিল বিজেপির গুন্ডারা: নন্দীগ্রাম নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার