বিধানসভায় যাওয়ার প্রশ্নে আত্মবিশ্বাসী স্বপন দাশগুপ্ত মুখোমুখি অভিজিৎ ঘোষের

 

অভিজিত ঘোষ

তিনি সাংবাদিক। তিনি প্রাক্তন সাংসদ। তিনি গেরুয়া রাজনীতির অন্দরে পরিচিত, প্রভাবশালী মুখ। রাজ্যসভার সদস্য পদ ছেড়ে বাংলার একুশের ভোটে প্রার্থী। ২ মে’র পর যদি বিজেপির স্বপ্নের পরিবর্তন হয়, তিনি যে নানা গুঞ্জনের অন্যতম চরিত্র, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রচার শেষ হওয়ার ঘন্টা কয়েক আগে, রবিবার দুপুরে তারকেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্তর মুখোমুখি “এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ”-এর সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ…

তারকেশ্বরে ভোটের ফল কী হবে?
বিজেপি জিতবে, মার্জিনে জিতবে।

স্বপন দাশগুপ্তর কেন এমন আত্মবিশ্বাস?
কারণ, সারা রাজ্যে একটা পরিবর্তনের ঝড়। তারকেশ্বর বাংলার বাইরে নয়। ফলে তারকেশ্বরেও পরিবর্তনের হাওয়া। মানুষ নির্যাতিত হয়েছেন। তাঁরা যে নিষ্কৃতি চাইবেন সেটাই স্বাভাবিক। প্রচারে গিয়ে সেটাই টের পেয়েছি।

আপনার কেন্দ্রেও কী বহিরাগত ইস্যু কাজ করবে?
আসলে এটাও শাসক দলের অপপ্রচার। কেন বলছি? আগের বিধায়ক, প্রাক্তন আইপিএস রচপাল সিংকে মানুষ কার্যত দেখতে পাননি। আর এবারের প্রার্থী রমেন্দু সিংহ রায় তো সবে পরীক্ষায় বসেছেন। আর বসেই জনগনের চোখা-চোখা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ব্যতিব্যস্ত হচ্ছেন। কারণ, বিধায়ককে তো দেখতেই পাননি। পরিষেবা দূরের কথা। এই নেতিবাচক পরিস্থিতি ভুলিয়ে দিতেই আমার বিরুদ্ধে বহিরাহত ইস্যু তোলা হয়েছে। আসলে দেশের মধ্যে কোনও মানুষই বহিরাগত নন। এই ইস্যু তোলার অর্থ বিচ্ছিনতাকে উস্কানি দেওয়া।

তারকেশ্বরের এক সময়ের বিধায়ক ছিলেন রাম চ্যাটার্জি…
এখানেই আমি বলতে চাই, রাজনীতিতে এই সততা থাকাটা জরুরি। রাম চ্যাটার্জি সম্বন্ধে যাই অভিযোগ বা প্রচার থাকুক না কেন, তিনি এখানকার মানুষের কাছে খুব আপন ছিলেন। কিন্তু তিনিও তো তারকেশ্বর নয়, ছিলেন চুঁচুড়ার মানুষ। কিন্তু তারজন্য মানুষকে পরিষেবা দিতে তো কোনও অসুবিধা হয়নি! তাহলে বহিরাগত ইস্যু কী এক্ষেত্রে খাটে?

দুর্নীতির অভিযোগ এই কেন্দ্রের ফলাফলে কতখানি ছাপ ফেলবে?
রাজ্যের হাতে প্রকল্প ছিল। সেই প্রকল্পে যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, তারা অনেকেই পাননি। কেন? অনেক ক্ষেত্রেই তাদের রাজনৈতিক রঙ দেখে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আমফানের ছায়াও এখানে পড়েছে। সেখানে বড় দুর্নীতি। ভুক্তোভোগী গ্রামের মানুষ। ফলে তাঁরা কিন্তু ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভ ইভিএমে প্রতিফলিত হবে, আমার স্থির বিশ্বাস।

কেউ কেউ আপনাকে আড়ালে বলছেন, স্বপন দাশগুপ্ত আসলে ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গের প্রতিনিধি। ভোটে বিজেপি জিতলে আপনি মুখ হতে পারেন…
এই প্রচারটা মিডিয়ার তৈরি। পার্টি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই প্রার্থী বাছাই পর্ব সেরেছে। মুখ নয়, ম্যানিফেস্টোই শেষ কথা। কাজ কেউ একা করেন না। টিম এই কাজ করে। হ্যাঁ ঠিকই যে কেউ কেউ নেতৃত্ব দেন। সেটাও আমাদের দলের নির্দেশ অনুযায়ী হয়। এখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের পার্টির পার্থক্য।

Advt

Previous articleএবার বুদ্ধিজীবীদের  ‘রগড়ে দেব’  বলে কটাক্ষ দিলীপের!
Next articleমুর্শিদাবাদে গুলি, ভাঙড়ে হাতাহাতি, নন্দীগ্রামে ভাঙচুর! রাজনৈতিক সংঘর্ষে বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন?