মোদিজি…ওওও… মোদিজি..পাল্টা কটাক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা কুণালের

মোদিজি.ওওও..মোদিজি. মঙ্গলবার সোনারপুর দক্ষিণে(Sonarpur South constituency) একটি জনসভায় ঠিক প্রধানমন্ত্রীর(prime minister Narendra Modi) সুরেই তাঁকে তুলোধনা করলেন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরুন্ধতী মৈত্র ওরফে লাভলি মৈত্রর সমর্থনে মঙ্গলবার একটি জনসভায় বক্তব্য(West Bengal assembly election 2021 campaign) রাখেন কুনাল। পেট্রোল-ডিজেল- কেরোসিনের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের নাগাল ছাড়ানো দাম, ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের হাতে আধাসেনার মৃত্যু, একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ… একটার পর একটা বিষয় তুলে ধরে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ‘মোদিজি ও মোদিজি’ হাওয়াই চপ্পল পরা দিদি আপনাকে ডেলি প্যাসেঞ্জার বানিয়ে ছেড়ে দিল? ঠিক যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একের পর এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ‘দিদি ও দিদি’ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যঙ্গ করেন, ঠিক সেভাবেই এদিন প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন কুণাল। তৃণমূলের মুখপাত্র এদিন বলেন, বিজেপি বলছে জয় শ্রীরাম বলতে। ওদের প্রশ্ন, জয় শ্রীরাম বললে দোষটা কোথায় ? কোনো দোষ নেই। জয় শ্রীরাম বলতে আমরা রাজি আছি । যদি পেট্রোল পাম্পে গিয়ে জয় শ্রীরাম বললে 40 টাকা লিটারে পেট্রোল দেয় তাহলে জয় শ্রীরাম অবশ্যই বলব। যদি জয় শ্রীরাম বললে রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা হয়ে যায়, তাহলে আমার মা বোনেরা নরেন্দ্র মোদির ছবির সামনে দাঁড়িয়ে অবশ্যই জয় শ্রীরাম বলবেন।

শুধু বিজেপিকেই নয়, কুণাল এদিন একহাত নিয়েছেন সিপিএমকেও। বাম সমর্থকদের এদিন তিনি বলেন, মুখে বাম আর ভোটবাক্সে রাম, এই বিশ্বাসঘাতকতা আর করবেন না। বিজেপিকে একটি ভোটও দেবেন না। উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সিপিএমকে কিন্তু আপনারা একটি ভোটও দেবেন না। সিপিএম বাংলার ছেলেমেয়েদের ইংরেজি শিখতে দেয়নি। বাংলায় কম্পিউটার ঢুকতে দেয়নি।

কুনাল এদিন বলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে চাকরি প্রচুর হয়েছে। কর্মসংস্থান প্রচুর হয়েছে। যুবশ্রী, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারে সরকার থেকে শুরু করে ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুল যাওয়ার জন্য ব্যাগ জামা-জুতো বই এমনকী রোজ মিগ ডে মিলের ব্যবস্থাও আপনাদের জন্য মমতাদিদি করে দিয়েছেন। সবটা হয়তো করে উঠতে পারেননি। কিন্তু কিছু কিছু কিছু করে দিদি আপনাদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেখুন ভুল তো সবারই হয়। কাজ করলেই ভুল হবে। আর পরবর্তী কাজের মাধ্যমে আগের ভুলটা শুধরেও নিতে হবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আপনারা আবারও সুযোগ দিন। যে উন্নয়নের জোয়ার বাংলায় বইছে তার গতি যেন রুদ্ধ হয়ে না যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলা সোনার বাংলা হয়ে উঠেছে । তা যেন আরও সমৃদ্ধ আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তাই ইভিএমে শুধুই জোড়া ফুলে ছাপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আমরা তৃতীয়বারের জন্য নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চাই।

Advt

Previous articleকরোনায় আক্রান্ত টলিউডের ছোটপর্দার অভিনেত্রী শ্রুতি দাস
Next articleআজীবন প্রেসিডেন্ট থাকতে ফের রাশিয়ায় আইন পরিবর্তন ‘ক্ষমতালোভী’ পুতিনের!