Monday, August 25, 2025

এবার বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের মতো এমন রঙিন আবহ এর আগে দেখেনি রাজ্যবাসী। হলফ করে একথা বলতে দ্বিধা নেই । আর কমিশনের কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো। কমিশন নাকি দেখেছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেদাভেদ সৃষ্টি করছেন। তাই তাকে শোকজ করেছে। অথচ বাংলায় প্রত্যেকটি ভোটের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সভা করে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তা নাকি চোখে দেখতেই পাচ্ছে না কমিশন! আশ্চর্যজনকভাবে তাদের এই নীরবতা কিন্তু অনেকগুলি প্রশ্ন সামনে এনে দিচ্ছে । এ যে নেহাত ছেঁদো যুক্তি নয়, একটু পিছন ফিরে তাকালেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় দফার পরে রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণের দিন মঙ্গলবারও দুই সমাবেশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনেও জোড়া সভা করেছিলেন তিনি। প্রথমটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে এবং দ্বিতীয়টি হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। এর পরে গত শনিবারও ২টি সমাবেশ করেছেন। একটি হুগলির তারকেশ্বর ও অন্যটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। মঙ্গলবার তাঁর সমাবেশ ছিল কোচবিহার ও হাওড়ায়। সেদিন তার পাশের কেন্দ্রে তখন চলছিল তৃতীয় দফার ভোট ।
বাংলায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন অবশ্য মোদি ছিলেন পড়শি দেশ বাংলাদেশে। সেদেশে মতুয়াদের তীর্থস্থান দর্শনে প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের ভোট এবং এক বিশেষ সম্প্রদায়ের ভোটারদের উপর প্রভাব বিস্তার করা। এই অভিযোগ যখন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস করে, তখন কিন্তু কমিশন পুরো বিষয়টি না দেখার ভান করে ঘুমিয়ে থাকে।
আসলে যেনতেনপ্রকারণে তৃণমূলকে প্যাঁচে ফেলার ছক কষাই এখন নির্বাচন কমিশনের একমাত্র কাজ। তা জলের মতো স্পষ্ট। না হলে বেহালার রাস্তায় ভাজপা প্রার্থী শ্রাবন্তী দিনের-পর-দিন কীভাবে সেনাবাহিনীর বিশেষ নম্বর প্লেট লাগানো গাড়িতে চড়ে রোড শো এবং ভোটের প্রচার করেন? তখন কী নির্বাচন কমিশন নির্বিকার সমাধিতে চলে গিয়েছিল? আসলে অমিত শাহ এবং মোদি নির্বাচন কমিশনকে যে বুড়ো আঙুল দেখান, তা কমিশনের এই মেরুদণ্ডহীন পদক্ষেপেই স্পষ্ট ।
তাই যখন তৃণমূল প্রার্থী নাজিবুল করিম ও সুজাতা মন্ডল ভোটের দিন দুষ্কৃতীদের হাতে বেধড়ক মার খান, তখন সেই অভিযোগ পাওয়ার পরও চোখ বুঝে নীরব থাকতে দেখা যায় কমিশনের কর্তাদের । অথচ নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যকে ঘিরে তারা এতটাই বিচলিত হয়ে পড়ে যে তাঁকে শোকজ করতে একবারও ভাবেনা কমিশন । কারণ, তারা যে ভাজপার হাতের পুতুল তা আজ বেআব্রু হয়ে গিয়েছে । তাই বলতে হয়- কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়…।

Related articles

নির্বাচনী মামলা! পাল্টা হলফনামা দিতে নিজেই হাই কোর্টে অভিষেক

নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছিল তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সাংসদ তথা তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের...

পথ দেখায় বাংলা: মমতার পথেই গণেশপুজোয় অনুদান মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের!

বাংলা আজ যা ভাবে গোটা ভারত তা ভাবে কাল। এই স্বতঃসিদ্ধ বাক্যটি সম্প্রতি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ফের একবার...

“যেকোনও পুরুষ আমার চেয়ে হেমাকে বেশি পছন্দ করত”, ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে মন্তব্য প্রকাশের

ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের (Prakash Kaur) বিয়ে হয় ১৯৫৪ সালে। অভিনেতার বলিউডে অভিষেকের কয়েক...

নিয়োগ মামলা: ইডির তল্লাশি বিধায়কের বাড়ি, আত্মীয়ের বাড়িতে

নির্বাচন এগিয়ে এলেই বিজেপির তার তদন্তকারী সংস্থার অস্ত্রগুলোকে এগিয়ে দিতে থাকে। তদন্তকারী সংস্থা ইডি বা সিবিআই আজ পর্যন্ত...
Exit mobile version