ব্যালকনিতে শিশুর কান্না শুনে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। আপার্টমেন্টের ভিতরে ডাকা হয় পুলিশকেও। এরপরই ৪ বছরের ওই শিশুকন্যার বাবা-মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে তারা। ভারতীয় ওই দম্পতির দেহে ছুরির আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। মৃত দম্পতির দেহ ভারতে পৌঁছতে ৮-১০ দিন সময় লাগবে বলে মার্কিন

মৃত দম্পতির নাম, বালাজি ভরত রুদ্রবর ও তাঁর স্ত্রী আরতী বালাজি রুদ্রবর। নিউ জার্সির রিভার ভিউ গার্ডেন কমপ্লেক্সের ২১ নম্বর গার্ডেন প্যালেসে শিশু সমেত থাকতেন ওই ভারতীয় দম্পতি। কিন্তু কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। স্থানীয় মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী পুলিশ আধিকারিকরা শিশুটির কান্না শুনে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার করে।
মৃত ভরত রুদ্রবরের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর নাতনিকে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখেই ছুটে যান প্রতিবেশীরা। ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখেই আসল কারণ খুঁজে বের করা সম্ভব। দম্পতি ছুরির আঘাতে মারা গেছে, তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তবে কেন তাঁদের মারা হল বা তাঁদের মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও রহস্য ছিল কিনা তার নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। ভরতের বাবা আরও জানিয়েছেন তাঁর বৌমা ৭ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই ফের আমেরিকা যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও সম্ভাব্য কারণ খুঁজে পাচ্ছিনা। ওরা সুখী পরিবার ছিল এবং ওদের প্রতিবেশীরাও খুব ভাল ছিল।’
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। আপাতত শিশুটি ওই দম্পতির বন্ধুর বাড়িতে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আইটি কর্মী বালাজি রুদ্রবর মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে সস্ত্রীক আমেরিকায় চলে যান তিনি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাঁদের বিয়ে হয়। একটি ভারতীয় ইনফোটেক সংস্থার কাজ করতেন বালাজি আর তার স্ত্রী ছিলেন গৃহবধূ।