শীতলকুচিতে ৫ জনের মৃত্যুর পরে কোচবিহারে ৭২ ঘণ্টা রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার সকালে শিলিগুড়ি থেকে ভিডিও কলে নিহত দুজনের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন তৃণমূল (Tmc) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। এদিন শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখান থেকে অভিযোগ করেন তাঁকে আটকাতেই শীতলকুচিতে ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। “কমিশনের সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন”। শীতলকুচিতে গণহত্যা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী।
এর আগে এ দিন নিজের টুইটার (Twitter) হ্যান্ডেল নির্বাচন কমিশনকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, “নির্বাচন কমিশনের মডেল কোড অফ কনডাক্ট আসলে ‘মোদি কোড অফ কনডাক্ট’। বিজেপি সব শক্তি দিয়েও আমার মানুষের পাশে থাকা ও তাদের দুঃখ ভাগ করে নেওয়া আটকাতে পারবে না। তিনদিন নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। আমি চতুর্থ দিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করব”।
এই টুইট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, শীতলকুচিতে (Shitalkuchi) গণহত্যা করা হয়েছে। সিআইএসএফদের (Cisf) ভিড় সামলানোর কোন অভিজ্ঞতাই নেই। কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ব্যবহার না করে সরাসরি বুক লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। যেটা কখনোই করা যায় না বলে মত মমতার। হেরে যাওয়ার ভয়ে বিজেপি এসব করছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন তৃণমূলের তরফে কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার অঙ্গ হিসেবে তৃণমূল নেত্রী নিজেও কালো চাদর গায়ে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন-পরবর্তী ৪ দফায় রাজ্যে আসছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী, সিদ্ধান্ত কমিশনের
এরপরেই তিনি শীতলকুচির দুই নিহতের পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। প্রথমে তিনি নিহত মনিরুজ্জামানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, মনিরুজ্জামানের স্ত্রী, বাবা-মা ও ৪৫ দিনের একটি সন্তান আছে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ভোটের জন্য বাড়ি এসেছিলেন। পাশে ছিলেন নিহত হামিদুল হকের দাদা। তিনি জানান, হামিদুলের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। একটি তিন বছরের কন্যাও রয়েছে। হামিদুলও রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। নিহতদের পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কোচবিহারে ঢুকতে কমিশনের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে যাচ্ছেন না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার শীতলকুচিতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। রাতে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে কোচবিহারে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। এই মৃত্যুর ঘটনার বিচার চাইবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মমতা।