নজিরবিহীন! ২৪ ঘণ্টার জন্য মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের, তীব্র নিন্দা তৃণমূলের

নজিরবিহীন ঘটনা। সোমবার রাত আটটা থেকে মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত তৃণমূল (Tmc)নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন তাঁকে সতর্ক করেছে, তাঁর মন্তব্য যেন এমন না হয় যার থেকে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। নির্দেশের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতৃত্ব মতে, আগেই তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলছে কমিশন এই ঘটনায় সেটাই আবার প্রমাণ হল।

এর আগে মমতার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও নিয়ে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নোটিশ পাঠায় নির্বাচন কমিশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় তার উত্তরও দেন। কিন্তু কমিশন সূত্রে খবর, সেই উত্তর তাদের মতে সম্পূর্ণ নয়। এবং সে উত্তরে সন্তুষ্ট নয় নির্বাচন কমিশন।

এর পাশাপাশি কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ দেওয়ার পরেও তিনি তাঁর মন্তব্য থেকে সরে আসেননি। কমিশনের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমস্যা হতে পারে। সেইসব মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচ পাতার চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-শীতলকুচির ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়েছে বাহিনী: অভিষেক

তবে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, “বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে কমিশন। হিটলারি কায়দায় ভোট করাতে চাইছে তারা। দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, সায়ন্তন বসুরা গুলি করে দেওয়ার মতো কথা বললেও তাঁদের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ভুল-ত্রুটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্যই তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন”। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “এটি গণতন্ত্রের পক্ষে একটি কালো দিন”।

ইতিমধ্যেই পঞ্চম দফার প্রচারের সময়সীমা একদিন কমিয়েছে কমিশন। এই কারণে তৃণমূল নেত্রী পঞ্চম দফার প্রচারে সময়সীমা আরও কমে গেল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

Advt

Previous articleবারাসতের জনসভা থেকে নাম না করে জ্যোতিপ্রিয়কে আক্রমণ মোদির
Next articleTEST, TRACK AND TREAT : করোনা রুখতে নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্য সরকারের