কেতুগ্ৰামে ভোট প্রচারে এসে ফের দলিত তাস খেললেন নাড্ডা

যেনতেন প্রকারে বঙ্গ দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। আর সেই লক্ষ্যে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বন্যা ছোটানোর পাশাপাশি এবার বিভাজনের রাজনীতির পথেও হাত ধুয়ে নেমে পড়ল কেন্দ্রীয় বিজেপি(BJP) নেতৃত্ব। শুক্রবার কেতুগ্রাম বিধানসভা(Ketugram Assembly) কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে এসে দলিতদের(Dalit) পাশে থাকার বার্তা নিয়ে শাসক দলকে দলিত বিরোধী আখ্যা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা(JP Nadda)। জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সরকার দলিত বিরোধী, মতুয়া বিরোধী, রাজবংশী বিরোধী। যদিও বিজেপির মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে তৃণমূলের(TMC) তরফে। অভিযোগ তোলা হয়েছে হার নিশ্চিত বুঝে এখন বিভাজনের শেষ তাস খেলতে শুরু করেছে বিজেপি।

শুক্রবার ভোট প্রচারে কেতুগ্রাম বিধানসভার উপস্থিত হয়ে চেনা ছকে শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানাতে দেখা যায় জেপি নাড্ডাকে। বঙ্গে নারী নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে বলে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কৃষক সম্মান নিধি ও আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়েও শাসক দলকে আক্রমণ শানান নাড্ডা। এরপর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে নাড্ডা বলেন, দলিত সমাজকে অত্যন্ত নিচু নজরে দেখে এই সরকার। তাদের প্রতি কুমন্তব্য করতেও তৃণমূলের প্রতিনিধিরা দ্বিধাবোধ করেন না। অথচ এই ঘটনার পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর দলের কর্মীর বিরুদ্ধে একটা কথা বলতেও দেখা যায়নি। এ পরই তিনি দাবি করেন, তৃণমূলের সমস্ত নেতা-নেত্রী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলিত বিরোধী, নমশুদ্র বিরোধী, মতুয়া বিরোধী, রাজবংশী বিরোধী।

যদিও বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার এহেন মন্তব্যের তিব্র বিরোধিতা করে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে। তৃণমূল সরকার কোনোভাবেই দলিত বিরোধী নয় বরং দলিতদের জন্য প্রচুর কাজ করেছে এই সরকার। নির্বাচনে হার নিশ্চিত বুঝে এখন সরাসরি বিভাজনের রাজনীতির পথে নেমেছে বিজেপি। তবে বাংলার মানুষ সব বোঝে। ভোট বাক্সে এর জবাব ওরা পাবে।

Advt

Previous articleআইসিসির একদিনের ক্রিকেটে বিরাটকে টপকে শীর্ষে বাবর আজম
Next articleরোড শো-এ জনস্রোত: মাথা নোয়াবে না বাংলা, স্পষ্ট ঘোষণা অভিষেকে