মমতা আবার জিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোক, এমনটাই চাইছেন সোমেন জায়া শিখা

রাজ্যে চলছে হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোট (West Bengal Assembly Election)। চার দফা শেষ হয়েছে। এখনও বাকি চার দফা ভোট গ্রহণ। বিজেপি (BJP) হাওয়া তুলেছে ২০০ উপর আসন নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে তারা। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবি দুই তৃতীয়াংশ আসন জিতে ফের ক্ষমতায় আসছেন তিনি।

এই দাবি-পাল্টা দাবির মাঝে খুব তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন
প্রদেশ কংগ্রেসের কিংবদন্তি নেতা প্রয়াত সোমেন মিত্রের (Somen Mitra) স্ত্রী শিখা মিত্র (Shikha Mitra)। “একুশের নির্বাচনে মমতাই জিতছেন। তাঁকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী (CM) দেখতে চাই।” আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য সোমেন জায়ার।

গতকাল পয়লা বৈশাখের দিন উত্তর কলকাতার তিনটি বিধানসভার জন্য বিশাল বর্ণাঢ্য এক রোড-শো করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙা পা-য়ে হুইল চেয়ারে বসে বেলেঘাটা থেকে বউবাজার পর্যন্ত এই রোড-শো করেন তিনি। তখনই আমহার্স্ট স্ট্রিট দিয়ে যাওয়ার সময়
৪৫ নম্বর বাড়ির সামনে কিছুক্ষণ থমকে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। মিনিট পাঁচেক সেখানে থাকেন।

বাড়ির সামনে থেকেই প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূল নেত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, “আমহার্স্ট স্ট্রিটের সকল বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানাই। আমি ইচ্ছে করেই এখানে দাঁড়িয়েছি। এখানে সোমেন মিত্রের বাড়ি। আমাদের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আজ তিনি নেই। তাঁকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাই। এই এলাকায় আমি আগেও কালীপুজোর সময় এসেছি।”

সোমেন মিত্রের প্রতি এমন শ্রদ্ধা নিবেদনের খবর পেয়ে স্ত্রী শিখা মিত্র মমতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “মমতা সোমেন মিত্রের আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ওকে সোমেনবাবু খুবই ভালোবাসতেন। স্নেহ করতেন। আমিও ওকে স্নেহ করি। ও আমায় বউদি বলে ডাকে। সোমেন মিত্রের প্রতি ওর শ্রদ্ধা রয়েছে। এবার ভোটে মমতার জয়ের ব্যাপারেই আশাবাদী আমি। ও আবারও জিতে এসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হোন, এটাই চাই।”

 

প্রসঙ্গত, এবার নির্বাচনে চৌরঙ্গি কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে শিখা মিত্রের নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু তিনি প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন। সোমেন জায়া জানিয়ে ছিলেন, তাঁকে না জিজ্ঞাসা করে ভোটের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। একেবারেই ঠিক করেনি তাঁরা। উল্টো স্রোতে হেঁটে শিখা মিত্রের এমন সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়ে ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

Advt

 

Previous articleফের করোনার বলি এক কংগ্রেস প্রার্থী, এবার স্থগিত উপনির্বাচন
Next articleবাবুল সুপ্রিয়’র বিরুদ্ধে সংবিধান বিকৃত করার অভিযোগ এনে কমিশনে চিঠি ডেরেকের