‘বাংলায় ভোট প্রচারে এসে মিথ্যে বলছেন মোদি’, কড়া সুরে আক্রমণ ডেরেকের

বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে একের পর এক মিথ্যা তথ্য তুলে ধরছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। ভোট প্রচারে এসে এভাবে একের পর এক মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগেই শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল(TMC) সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন(Derek O’Brien)। অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি, বিজেপির(BJP) বিরুদ্ধে আজ নির্বাচন কমিশনের(election commission) দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল।

শনিবার রাজ্যে দুটি জনসভা ছিল নরেন্দ্র মোদির। আসানসোল ও গঙ্গারামপুর এই দুই জনসভায় নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রাজ্যের নারী সুরক্ষা সহ একাধিক ইস্যুতে মিথ্যে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল। এই বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘আজকের আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবো এবং সেখানে গিয়ে আমাদের বক্তব্য জানাবো। প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রীর ফোন কীভাবে কে ট্যাপ করছে? এবং দ্বিতীয়ত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আজ ১০টা ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যে প্রচার করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে ৮৮টি ফাস্টট্যাক কোর্ট আছে। যার মধ্যে ৪৫টি মহিলাদের জন্য। ১৯ মানবাধিকার আদালত রয়েছে। এছাড়াও বালুরঘাটে ধর্ষণ নিয়েও মিথ্যা প্রচার করেছেন মোদি। এই সমস্ত বিষয় তুলে ধরে অভিযোগ জানানো হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে।’

পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে করোনার সংক্রমণ ইস্যুতে নিজের পুরনো দল বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালাতে দেখা যায় যশোবন্ত সিনহাকে। তিনি বলেন, ‘বিজেপিই হল দেশে করোনার সুপার স্প্রেডার।’ পাশাপাশি যশোবন্ত আরো বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বড় মুখ করে বলেছেন, তাঁরা নাকি সফলভাবে মোকাবিলা করেছেন। বিশ্বের মধ্যে তাঁরাই করোনা জয়ী দেশ হিসেবে ভারতকে তুলে ধরেছেন। এপ্রিলে অবস্থাটা দেখুন সংক্রমণ বাড়ছে প্রয়োজনীয় ডাক্তার নেই, নার্স নেই। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাস্ক ছাড়া প্রচার করছেন।’

আরও পড়ুন:নাম না করে বিজেপিকে তোপ: সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেব, অডিও ক্লিপ ফাঁস নিয়ে জানালেন ক্ষুব্ধ মমতা

একইসঙ্গে যশোবন্ত আরো জানান, ‘প্রয়োজন ছাড়া রাজ্যে আট দফা ভোট করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমরা ভোটের দফা কমানোর কথা বলেছিলাম। শেষ তিন দফা অন্তত একদিনে করা হোক সেই দাবি করেছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেই দাবি মানেনি। আসলে বিজেপিই হল করোনার সুপার স্প্রেডার।’ প্রসঙ্গত এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ডেরেক ও’ব্রায়েন যশবন্ত সিনহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।

Advt

Previous articleচাকদহে বুথের সামনে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার নির্দল প্রার্থী
Next articleদুমকা ট্রেজারি মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন লালুপ্রসাদ যাদব