নির্বাচনের ঠিক আগে শীতলকুচি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিমের একটি অডিও টেপকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় সরাসরি কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের(BJP) দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল(TMC)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে কে বা কারা নজরদারি চালাচ্ছে অবিলম্বে তার তদন্ত চাওয়ার পাশাপাশি বেআইনিভাবে সেই অডিও সাংবাদিক বৈঠক করে প্রকাশ্যে আনা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

আরও পড়ুন:দফায় দফায় সংঘর্ষ গয়েশপুরে, শান্তনু ঠাকুরকে ঘিরে বিক্ষোভ

এদিন তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে বেআইনিভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায়ের(Partha pratim Roy) ফোনের কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে বিজেপির তরফে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের ঠিক আগের দিন সাংবাদিক বৈঠক করে সেই রেকর্ডিং চালিয়েছেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এবং বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি, এবং নির্বাচন পূর্বে হিংসা ছড়ানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। অবিলম্বে গোটা ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবির পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়ে কমিশনকে এই চিঠি দেওয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এদিন নির্বাচন কমিশনে বিজেপির বিরুদ্ধে অডিও টেপ নিয়ে এহেন অভিযোগ পত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, যশবন্ত সিনহা ও রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।

Trinamool Congress (TMC) writes to Chief Electoral Officer, West Bengal over "recording of phone conversation between CM Mamata Banerjee and Partha Pratim Ray." pic.twitter.com/D4EBOPO6Gp
— ANI (@ANI) April 17, 2021
যদিও কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর আগে এক দফা সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন বলেন ,”কে এই অডিও টেপ রেকর্ড করছে? কে দেশের মানুষের সুরক্ষাকে এভাবে কাঠগড়ায় তুলছে?” পাশাপাশি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘যে কোনও লোকেরই ফোন ট্যাপ করা হতে পারে। এবং তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা লোকসভায়, রাজ্যসভায় একাধিক বার এই অভিযোগ তুলেছিলাম। তখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বলেছিলেন, কোনও ভাবেই মন্ত্রীদের কথাবার্তা টেপ হয় না। তিনি যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তা যে মিথ্যে কথা তা প্রমাণ হল। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত আমাদের কথাবার্তা টেপ করে মিথ্যের ফ্যাক্টরির ম্যানেজাররা।’