‘যারা এমনিই নাগরিক, তাদের আবার কী নাগরিকত্ব দেবে!’ বিজেপিকে ভাঁওতাবাজ বললেন অভিষেক

বঙ্গে এবার মতুয়া ভোটকে(Matyua vote) পাখির চোখ করে নাগরিকত্বের হাওয়া তুলেছে গেরুয়া শিবির। প্রতিটি জনসভায় বিজেপির(BJP) তরফে দাবি করা হচ্ছে বাংলায় ক্ষমতায় এলে সিএএ(CAA) লাগু করা হবে। রবিবার বনগাঁ উত্তরের জনসভায় দাঁড়িয়ে এই ইস্যুতেই বিজেপির বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। জানিয়ে দিলেন, ‘যারা এমনিই নাগরিক, তাদের আবার কী নাগরিকত্ব দেবে!’ পাশাপাশি বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে এসে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হওয়া অমিত শাহকে(Amit Shah) পাল্টা আক্রমণ শানাতে ছাড়লেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

রবিবার বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল রায়ের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই অভিষেক বলেন, ”বিজেপির বহিরাগত নেতারা রাজ্যে এসে নাগরিকত্ব দেবে বলে প্রচার শুরু করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল যারা এমনিতেই নাগরিক তাদের আবার কিভাবে নাগরিকত্ব দেবে! আসলে রাজ্যে এসে প্রচারের নামে এভাবেই ভাঁওতাবাজি করছে বিজেপি।’ পাশাপাশি রাজ্যে অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব হওয়া অমিত শাহের নাম না করেই তীব্র আক্রমণ শোনান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘ওরা বলছে রাজ্যে নাকি অনুপ্রবেশ হচ্ছে। ওরা ক্ষমতায় এসে এসব আটকাবে। বর্ডারের দায়িত্বে থাকে বিএসএফ। বিএসএফের মন্ত্রী অমিত শাহ। এই বিএসএফ যদি অনুপ্রবেশ রুখতে না পারে তাহলে অমিত শাহের সবার আগে পদত্যাগ করা উচিত। বরখাস্ত করা হোক বিএসএফের ডিজিকে। কই সেটা তো করছেন না। ভোটের জন্য এই ধরনের ভাঁওতাবাজির গল্প শুনিয়ে কিছু লাভ হবে না।”

আরও পড়ুন:ভোট মিটতেই অসমে ডি-নোটিস! পদ্ম শিবিরকে তোপ মমতার

এর পাশাপাশি মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির দিকে আঙুল তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ”এদের কাছে মানুষের জীবনের কোনও দাম নেই। মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করছে। এদের কখনও ক্ষমা করবেন না।” অভিষেক আরো বলেন, “আমরা বলেছিলাম শেষ তিন দফা ভোট একদিনে করতে। এতে সমস্ত জায়গায় মানুষ একবারে ভোট দিতে পারতো এত প্রচার হতো না এত জনসমাগম হত না। কিন্তু বিজেপি শোনেনি। নির্বাচন কমিশনও ওদের দাবি মেনেছে।” পাশাপাশি বাংলায় ভ্যাকসিন নিয়েও দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে অভিষেক জানান, “আমরা বলেছিলাম রাজ্য সরকার ভ্যাকসিন কিনবে এবং বিনামূল্যে তা সকল রাজ্যবাসীকে দেওয়া হবে। কিন্তু আমাদের দাবি ওরা মানেনি। এখন বাংলাতেও প্রয়োজনের তুলনায় কম ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে। বাংলায় যতটা ভ্যাকসিন কেন্দ্রীয় সরকার পাঠিয়েছে তার চেয়ে তিনগুন বেশী ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে।”

Advt