চাপের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হলেন মোদি? বঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করার পরিকল্পনা

প্রবল আলোচনার মুখে পড়ে অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হলেন মোদি (prime minister Narendra Modi)? নরেন্দ্র মোদির ২২ ও ২৪ তারিখের মোট চারটি জনসভা একদিনে ২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আর তা নিয়েই প্রবল সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। কারণ দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাদ নেই এ রাজ্যও। করোনা সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে এবং সর্বোপরি রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার চিন্তা করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিবর্তন করেছেন। বড় জনসভা এবং জমায়েত বাতিল করে দিয়েছেন। অথচ নরেন্দ্র মোদি তার পরেও জনসভা করার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে দেশবাসীকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কোভিড বিধি পালন, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা এসব নিয়ে দেশবাসীকে নীতিশিক্ষা দিচ্ছেন। অথচ নিজেই কোভিড বিধি পালন শিকেয় তুলে জনসভা করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বদল করছেন না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে অবশেষে সভা করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে চলেছেন মোদি।

রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার শহরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। নরেন্দ্র মোদির জনসভা নিয়ে বিজেপির দলীয় বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা আছে। এই বৈঠকেই ঠিক হবে নমোর পরিবর্তিত ও পরবর্তী কর্মসূচি। বৈঠকে উপস্থিত আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, বিজেপির জাতীয় যুগ্ম সম্পাদক শিবপ্রকাশ এবং বিজেপি সাংসদ ভূপেন্দর যাদব-সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর কোভিড পরিস্থিতি এবং বিরোধীদের সমালোচনার জেরেই শেষ পর্যন্ত নমোর জনসভা ও জমায়েত কর্মসূচি বাতিল হতে পারে। সভা হয়তো হবে। কিন্তু তা হবে ভার্চুয়াল। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী দু-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে

Advt

Previous articleবুধবার হাইভোল্টেজ ম‍্যাচে কেকেআরের বিরুদ্ধে জয় ধরে রাখতে মরিয়া সিএসকে
Next articleসংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত, সরকারি হাসপাতালগুলিতে বাড়তে চলেছে কোভিড বেডের সংখ্যা