অশোকনগরে গুলি বিতর্ক : বাহিনী গুলি চালায়নি দাবি কমিশনের

অশোকনগরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ। সূত্রের খবর, দুই তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও অশোকনগরে গুলি চলেনি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বুথ পরিদর্শন করছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামী ও বিজেপি প্রার্থী তনুজা চক্রবর্তী। অভিযোগ, তনুজা অশোকনগরের ৭৯,৭৯এ, ৮০, ৮০ এ বুথে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। অভিযোগ, সেখানে বোমাবাজি করে তৃণমূল। প্রায় ৪০ মিনিট একটি বুথে আটকে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। ঘণ্টাখানেক পরে শান্ত হয় এলাকা। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন অশোকনগরের তৃণমূল প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামী। তৃণমূল প্রার্থী দাবি করেন শীতলকুচির মতোই অশোকনগরেও নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই তৃণমূল কর্মী। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপরই গুলি সেখানে গুলি চলেনি বলেই দাবি কমিশনের।

সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন এলাকায়। লিচুবাগানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ক্যাম্প অফিস করা নিয়েই তৃণমূল-বিজেপি দু পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। এই সংঘর্ষের জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। শুরু হয় লাঠিচার্জ। লাঠিচার্জের সময় এক বিজেপি কর্মীর পা ভেঙে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য গোটা এলাকায় টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

আরও পড়ুন-যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য মালদহের কালিয়াচকে

এদিন বারাকপুরের লালকুঠি এলাকায় রাজকে ঘিরে উঠতে থাকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান৷ বিজেপি কর্মীরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন৷ বারাকপুরে রাজের প্রতিদ্বন্দী বিজেপির প্রার্থী চন্দ্রমণি শুক্লা। বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমণি শুক্লা। মাস খানেক আগেই মণীশ খুন হয়েছেন।

এদিকে নদিয়ার চাপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের এলেমনগরের বুথের কাছে গ্রেফতার এক সন্দেহজনক ব্যক্তি। অভিযোগ, অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তি সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে তাঁকে আটক করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে রাজ্য পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

অন্যদিকে বীজপুর কেন্দ্রের কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরের ওপর হামলার অভিযোগ। তৃণমূল নেতার মাথা ফাটানোর অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিজেপির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিজেপির কোন প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

খড়দহ বিধানসভা এলাকায় ভোট শুরুর আগে রুইয়া মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে ১৪৩, ১৪৪ ও ১৪৫ নং বুথে বিজেপির এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তাদের। তার কিছুক্ষণ পরে পুলিশের সহযোগিতায় বিজেপির এজেন্ট বুথে ঢুকতে পারেন। ইতিমধ্যেই বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খড়দহের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত।

ষষ্ঠ দফায় উত্তর ২৪ পরগনার ১৭, উত্তর দিনাজপুরের ৯, নদিয়ার ৯, পূর্ব বর্ধমানের ৮ আসন মিলিয়ে মোট ৪৩ আসনে ভোট হচ্ছে। চোপড়া থেকে চাপড়া, বিভিন্ন কেন্দ্রে রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী। এই দফার ভোটে কয়েকটি বিশেষ কেন্দ্রে নজর থাকছে রাজনৈতিক মহলের। এগুলি হল নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর, উত্তর ২৪ পরগনার রায়গঞ্জ, উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর, দমদম উত্তর ও হাবড়া।

Advt

Previous article‘ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই লুকিয়ে যাচ্ছেন করোনার উপসর্গ’, কোভিড পজিটিভ হওয়ার পর বললেন অভিনেত্রী চৈতি
Next articleদেশজুড়ে অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে মোদিকে তীব্র কটাক্ষ প্রশান্ত কিশোরের