রাজ্যে ৪ জেলার ৪৩ টি কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ। কড়া নিরাপত্তায়(High security) ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হলেও সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে মূলত উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব বর্ধমান(East Bardhaman) জেলায়। জায়গায় জায়গায় গুলি চালনা ও বোমাবাজি পাশাপাশি একাধিক বুথে পোলিং এজেন্ট নিখোঁজের মতো ঘটনাও ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বিজেপি(BJP) কর্মীর বাড়িতে গুলি ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ এরপরই ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় চোপড়া থানার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central force)৷ পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূল(TMC) নেতাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে ৷ ওই তৃণমূল নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া বলে অভিযোগ ৷ ব্যারাকপুরের লিচুবাগানে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে ৷ যার জেরে এলাকায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা৷ পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে, উত্তর ২৪ পরগনা জগদ্দল থেকে। এখানে মেঘনা জুটমিল মজদুর ক্লাব বুথে সকাল থেকে তৃণমূলের ৭ এজেন্টের খোঁজ মিলছে না বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় সন্দেহের তির ওঠে বিজেপির দিকে।

আরও পড়ুন:বিশ্বে প্রথম, দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৩ লাখের বেশি, চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা

এর পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানেও ভোটের সকাল থেকে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর একটি বুথে তৃতীয় পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি, পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে বোমাবাজি ও তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে৷ অভিযোগের তির বিজেপির বিরুদ্ধে । তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকেরা প্রকাশ্যে রাম দা, লাঠি নিয়ে ঘুরছে । পুলিশ নীরব দর্শক । বিজেপির তরফ থেকে পালটা অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরাই বিজেপির লোকেদের আটকে দিয়েছে । তাই পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও, গলসি বিধানসভার কাঁকসার বিদবিহারের ফুলঝোড় ৯ নম্বর বুথে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৷ তার জেরে ক্ষোভে ভোট দেওয়া বন্ধ রাখেন ভোটাররা৷ পাশাপাশি এই গলসিতেই স্থানীয় মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসতে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থীকে।