করোনার কোপ থেকে বাদ যাচ্ছেন না কেউই। এবার এভারেস্টেও পৌঁছে গেল করোনা। বিপুল হারে করোনা সংক্রমণের মাঝেও বিদেশী পর্বতারোহীদের এভারেস্টে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক পর্বতারোহী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হেলিকপ্টারে করে কাঠমাণ্ডুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নিয়মমাফিক করোনা পরীক্ষা করাতেই ওই পর্বতারোহীর রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

পর্বতারোহীর করোনার রিপোর্ট বুধবারই প্রকাশ্যে আসে। একটি ম্যাগাজিনে ঘটনাটি প্রথম তুলে ধরা হয়। সেই ম্যাগাজিনে বলা হয়, ওই পর্বতারোহী অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রথমে সন্দেহ করা হয়েছিল অতিরিক্ত উচ্চতায় তাঁর শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে, যা হাই-অল্টিটিউড পুলমোনারি ইডিমা নামে পরিচিত।কাঠমাণ্ডুর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাঁর করোনা পরীক্ষা করাতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার তরফে জানানো হয়, বেস ক্যাম্পে নিয়ে আসার পর একাধিক পর্বতারোহীর রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।

জানা গেছে, বুধবার অবধি নেপালের পর্যটন দফতর মোট ৩৭৭টি ক্লাইমিং পারমিট দিয়েছে বিদেশী পর্বতারোহীদের। তবে মোট কতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, সে সম্পর্কে নেপালের পর্যটন মন্ত্রকের তরফে কিছু জানানো হয়নি। এভারেস্টে করোনা নিয়ে আরও মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এর উপসর্গ। কারণ করোনার অধকাংশ উপসর্গ, যেমন সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা অধিক উচ্চতায় গেলেও হয়, যা অল্টিটিউট সিকনেস নামে পরিচিত।

নেপালের আয়ের একটি বড় অংশই পর্যটন শিল্প থেকে আসায় গতবছর করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা বিশ্বে লকডাউন জারি হওয়ায় নেপালের অর্থনীতিও তার প্রভাব ফেলে। কিন্তু এবছর খানিকটা সামাল দেওয়ায় পর্যটন ব্যাবস্থা খুলে দেওয়া হয়েছিল। আর সেখানেও থাবা বসাল করোনা।