দেশজুড়ে বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতি(situation) ভয়াবহ আকার নিয়েছে। অক্সিজেনের অভাবের জন্য একের পর এক হাসপাতালে মৃত্যু হচ্ছে রোগীদের। দেশে ফের করোনার এহেন বাড়বাড়ন্তের জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতাকে দায়ী করলেন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর(Prashant Kishor)। পাশাপাশি অক্সিজেনের ঘাটতি বেডের অভাব ওষুধের সংকট নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) তীব্র আক্রমণ শোনালেন পিকে। জানিয়ে দিলেন, করোনার প্রথম ধাক্কা সঠিকভাবে সামলাতে পারেনি কেন্দ্র। দ্বিতীয় ধাক্কাতেও সরকারের অদূরদর্শিতা ও অব্যবস্থা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
(Mis)handling of #CovidInIndia
1st wave – Whimsical and badly managed #lockdown created more human sufferings & tragedies than #Covid
2nd wave – lack of Oxygen, drugs and hospital beds are causing more death than the #virus
Common in both – सरकार की अदूरदर्शिता और कुप्रबंधन
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) April 24, 2021
দেশে ভ্যাকসিন ও অক্সিজেনের ঘাটতি যেভাবে প্রবল আকার ধারণ করেছে তা শিউরে ওঠার মত। অক্সিজেনের অভাবে একের পর এক হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর খবর আসছে। এই পরিস্থিতিতে টুইট করে সরাসরি মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন প্রশান্ত কিশোর। টুইটে তিনি লেখেন, “করোনা সমস্যার সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। প্রথম ঢেউয়ের সময় হঠকারী এবং বাজেভাবে কার্যকর হওয়া লকডাউনে এই ভাইরাসের সংক্রমণের থেকে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ধাক্কায় অক্সিজেন, ওষুধ এবং হাসপাতালের বেডের অভাবে করোনার থেকে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন। আর এই দুই ঘটনার জন্য দায়ী একটি বিষয়ই। সেটা হল সরকারের অদূরদর্শিতা এবং অব্যবস্থা।”
আরও পড়ুন:ভয়াবহ সংকটেও কালোবাজারি, দিল্লিতে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রচুর অক্সিজেন সিলিন্ডার
প্রসঙ্গত, এর আগে ও দেশে বাড়তে থাকা করো না পরিস্থিতি ও ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য সরাসরি মোদি সরকার কে আক্রমণ শানিয়ে টুইট করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘যেকোনো সমস্যা সামলাতে মোদি চার ধরনের পন্থা অবলম্বন করেন। ১. প্রথমে সমস্যাটিকে বুঝতে না পেরে দূরদর্শিতার অভাবে সেটিকে অগ্রাহ্য করেন। ২. হঠাৎ বিষয়টির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে এসে জয়ের মিথ্যে দাবি করেন। ৩. তারপরও যদি সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে তা অন্যদের দিকে ঠেলে দেন। ৪. সবশেষে পরিস্থিতির উন্নতি হবে ‘ভক্ত’দের নিয়ে এসে সাফল্যের কৃতিত্ব দাবি করেন।’