‘সৌরভের পদে আমি থাকলে কোভিডের জন্য মোটা টাকা দিতাম’, কড়া কটাক্ষ অভিনব বিন্দ্রা’র

করোনা-সংক্রমণে দেশজুড়ে দীর্ঘায়িত হচ্ছে মৃত্যুমিছিল৷ তারই মাঝে IPL চালিয়ে যাওয়ার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অলিম্পিক্সে ভারতের একমাত্র ব্যক্তিগত সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ অভিনব বিন্দ্রা।

একইসঙ্গে বিন্দ্রা (Abhinav Bindra)
কড়াসুরে বিঁধেছেন BCCI প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Sourav Ganguly)৷

বিন্দ্রা বলেছেন, “এই মহা-বিপর্যয়ে ক্রিকেটাররা চোখ-কান বন্ধ করে বসে আছেন কেন ? এভাবে থাকলে তো চলবে না। মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিতে হবে”।

সর্বভারতীয় এক ইংরাজি সংবাদপত্রের কলামে বিন্দ্রা লিখেছেন, “এই মুহূর্তে IPL চালিয়ে যাওয়া উচিত হচ্ছে কি না সেই বিতর্কে আমি যাচ্ছি না। কিন্তু নেটমাধ্যমে IPL সংক্রান্ত কোনও খবর দেখলে আমি এড়িয়ে যাই। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে এই খেলাটাকে আমি মেলাতে পারছিনা৷” বিন্দ্রা লিখেছেন, “ক্রিকেটারদের এটা বুঝতে হবে যে তারা এই ভয়ঙ্কর সময়েও IPl খেলতে পেরে কতটা ভাগ্যবান। তবে আশা করি কোনও ভাবে তারা সাধারণ মানুষকে বোঝাবে এই সময়ে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব রাখার প্রয়োজনীয়তাও কতটা।”

এর পরেই BCCI প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বিন্দ্রা লিখেছেন, “If I was the BCCI president and had the capability, I would definitely give a large amount to do, say the vaccination right or help out on any other way.” “আমি যদি BCCI প্রেসিডেন্ট হতাম এবং হাতে ক্ষমতা থাকত, তাহলে আমি মোটা টাকা ভ্যাকসিন কিনতে বা এ সংক্রান্ত অন্য কোনও কাজের জন্য দিতাম”৷ বিন্দ্রা লিখেছেন, “তাহলে বোঝা যেত এই IPL শুধুই মোটা টাকা লাভ করার কোনও প্রতিযোগিতাই শুধু নয়৷”

নিজের কলামে অলিম্পিক্সে ভারতের একমাত্র ব্যক্তিগত সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ লিখেছেন, “আমার মতে ভারতের এই পরিস্থিতিতে IPL আয়োজন করা বড় বিষয় এবং প্রত্যেকের উচিত নিয়ম মেনে চলা। ক্রিকেটাররা জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকেন বলে, বাইরে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে চোখ-কান বন্ধ করে বসে থাকতে পারে না। ওরা যখন মাঠে খেলছে তখনই হয়তো বাইরে দিয়ে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স মৃতপ্রায় করোনা- আক্রান্তদের নিয়ে ছুটে যাচ্ছে। এটাও মাথায় রাখতে হবে৷” পাশাপাশি, এই সঙ্কটজনক আবহে কুম্ভমেলার মতো উৎসব সমর্থন করার জন্য কুস্তিগীর যোগেশ্বর দত্তের সমালোচনা করেছেন বিন্দ্রা।

বিন্দ্রা এমন কথা লিখলেও, দেশের ক্রীড়ামহলের বক্তব্য, “ক্রিকেটাররা নিয়মিতভাবেই সাধারণ মানুষকে সংক্রমণ নিয়ে সচেতন করে চলেছেন। বিভিন্ন দলের তরফেও ভিডিও বা পোস্ট করে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে বলা হয়েছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন তো টুইট করে সাহায্যের বার্তা দিয়েছেন।

বিন্দ্রা আরও বলেছেন, “অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ ভারতের জনগণের উপর যে দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে তা দেখে আমি কার্যত ভেঙ্গে পড়েছি৷ আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থারও বিপর্যয় ঘটছে। তবে এতে আমি হাসপাতাল বা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযুক্ত করছি না। তারাই এই মুহুর্তের ‘রিয়েল হিরো’৷ তাই তাদের প্রত্যেককে সম্মান প্রদর্শন করতেই হবে৷ পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে, আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবায় আরও অনেক বেশি বিনিয়োগ কোন পথে আসে৷”

Advt

Previous article“কমিশন সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ২ মে ভোট গণনা বন্ধ করে দেবো”, কড়া হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের
Next articleকরোনা সংকটের দায় নির্বাচন কমিশনের, তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হওয়া উচিত: মাদ্রাজ হাইকোর্ট