অতিমারির প্রভাব ; রুপির বিপরীতে টাকার অবস্থান শক্তিশালী

খায়রুল আলম,ঢাকা

প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে ভারতীয় মুদ্রা রুপির ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। বাংলাদেশের টাকার পাশাপাশি মার্কিন ডলার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরোর বিপরীতেও দরপতন ঘটেছে। এতে ওইসব মুদ্রার মান বেড়ে গেছে। এর মধ্যে এক মাসে টাকার মান বেড়েছে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের মধ্যেও বাংলাদেশের মুদ্রার মান বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত বছরের মার্চ থেকে ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বরে এসে সেটি পিকে উঠেছিল। অক্টোবর থেকে কমতে থাকে। ৪ মার্চ পর্যন্ত স্থিতিশীল ছিল। এরপর থেকে আবার বাড়তে থাকে। ৯ এপ্রিল থেকে ভয়ানক রূপ ধারণ করে-যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের মার্চ, এই এক বছরে ভারতীয় মুদ্রার দাম বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলোর মুদ্রার সঙ্গে স্থিতিশীল ছিল। বরং ইউরো, ডলার ও পাউন্ডের বিপরীতে আরও শক্তিশালী হয়েছে।

কিন্তু এক মাসে করোনার আঘাত বাড়তে থাকায় মুদ্রার দরপতন হতে শুরু করেছে। এর মধ্যে এক মাসে বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার বিপরীতে ভারতীয় রুপির দরপতন ঘটেছে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। ডলারের বিপরীতে ৪ দশমিক ১৪, ইউরোর বিপরীতে ৫ দশমিক ৪৫ ও পাউন্ডের বিপরীতে ৪ দশমিক ০২ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ দরপতন ঘটেছে দুই সপ্তাহে।

Advt

এদিকে ভারতীয় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এই দুর্যোগের মধ্যে মুদ্রাকে নমনীয় রাখার কৌশল নিয়েছে। রপ্তানির বাজার ও রেমিটেন্স প্রবাহকে ধরে রাখার জন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সূত্র জানায়, ২৭ মার্চ বাংলাদেশের এক টাকা সমান ছিল ভারতীয় ১ দশমিক ১৭ রুপি। ৩০ মার্চ তা আরও কমে ১ দশমিক ১৫ রুপি হয়। ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল সামান্য বেড়ে ২ এপ্রিল থেকে আবার কমতে শুরু করে। ৬ এপ্রিল থেকে টানা কমতে শুরু করে। ১৩ এপ্রিল কমে এক টাকার সমান ১ দশমিক ১৩ রুপি হয়। ১৮ এপ্রিল আবার বেড়ে ১ দশমকি ১৪ রুপিতে দাঁড়ায়। ২০ এপ্রিল তা আবার কমে ১ দশমিক ১২ রুপি হয়। ২৭ এপ্রিল আরও কমে ১ দশমিক ১১ রুপি হয়।

২৭ মার্চ ৭২ দশমিক ৪৫ রুপিতে পাওয়া যেত এক ডলার। ১৩ এপ্রিল তা আরও বেড়ে এক ডলারের দাম হয় ৭৫ দশমকি ১৮ রুপি। ২৬ এপ্রিল তা আরও বেড়ে ৭৫ দশমিক ৪৫ রুপিতে দাঁড়ায়। একইভাবে ২৭ মার্চ ৮৫ দশমিক ৬৪ রুপি দিয়ে পাওয়া যেত এক ইউরো। ১৪ এপ্রিল তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৯ দশমিক ৯৫ রুপিতে। ২৬ এপ্রিল আরও বেড়ে ৯০ দশমিক ৩১ রুপিতে দাঁড়ায়। যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ডের দাম ২৭ মার্চ ছিল ৯৯ দশমিক ৯৩ রুপি। ২৬ মার্চ তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৩ দশমিক ৯৫ রুপি।

 

Previous articleবিপাকে পড়ে দায় এড়াচ্ছেন মোদি-শাহ, ভ্যাকসিন ইস্যুতে ফের কেন্দ্রকে তোপ ডেরেকের
Next articleপশ্চিমবঙ্গের সব হাসপাতালে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে মরিয়া নবান্ন