করোনায় বেহাল ভারত, ফের মোদিকে কাঠগড়ায় তুলল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম

‘ঔদ্ধত্য, অপরিণামদর্শিতা, এবং জনপ্রিয়তা আদায়ের চেষ্টা’, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) এই তিন গুণাবলী তুলে ধরে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির(coronavirus situation) জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ফের কাঠগড়ায় তুলল আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম(National media)।

ভারতের মাটিতে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রেকর্ড ভাঙছে মৃত্যু। অক্সিজেন ও জীবনদায়ী ঔষধের রীতিমতো হাহাকার শুরু হয়েছে। গুরুতর এই অবস্থায় বুধবার ফরাসি সংবাদপত্র ‘ল্য মঁদ’-এর সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে এই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করা হলো। বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতির জন্য করোনাভাইরাসের অপ্রত্যাশিত ভোলবদলের পাশাপাশি অন্যতম ভাবে দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঔদ্ধত্য, অপরিণামদর্শিতা এবং জনপ্রিয়তা আদায়ের চেষ্টা।

আরও পড়ুন:Special : মমতা মুখ্যমন্ত্রী, মুকুল বিরোধী দলনেতা; আসল বিজেপি কী করবে?

বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্তের সময় ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়াতে বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিষেধক পাঠিয়েছে ভারত। এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে ফরাসি সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, “তখন বিশ্বের ওষুধ ভাণ্ডার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছিল ভারত। ভাবখানা ছিল এই রকম যে, নিজেদের জন্য পর্যাপ্ত টিকা রেখেই লক্ষ লক্ষ টিকা তারা বিদেশে সরবরাহ করছে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে তা দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।” ওই সংবাদপত্রে আরো লেখা হয়েছে এর দায় শুধুমাত্র ভাইরাস বা ভ্যারিয়েন্টের ওপর চাপানো যায় না। নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শিতার অভাব, নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তোলার উদগ্র বাসনা আর ঔদ্ধত্যই ভারতকে এই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। অবস্থা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিদেশি সাহায্যের প্রয়োজন পড়ছে।

সরাসরি নরেন্দ্র মোদিকে কাঠ গড়ায় তোলার পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও একহাত নিতে ছাড়েনি ওই সংবাদমাধ্যম। ২০২০ সালের লকডাউন প্রসঙ্গ তুলে ধরে লেখা হয়েছে, সংক্রমণ রুখতে ২০২০ সালে নৃশংস ভাবে দেশকে বন্দি করে, লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের উপেক্ষা করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছরের গোড়াতে সেই সুরক্ষা বেড়ি তিনি নিজেই ভেঙে ফেললেন। পাশাপাশি ভোট পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামতকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে মানুষের জীবনের পরিবর্তে নিজের ভাবমূর্তি গড়ায় বেশি ব্যস্ত ছিলেন মোদি। করোনার হটস্পট কুম্ভ মেলার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টিও সমালোচনা করা হয় ওই সংবাদমাধ্যমে। উল্লেখ্য, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করে ভারতের করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য তাঁকে দায়ী করে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’। যদিও সেই সময় ওই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা যায় কেন্দ্রকে। বলা হয়, অতিমারির বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে খাটো করতেই কুত্‍সামূলক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

Advt

Previous articleকোভিডমুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন মনমোহন সিং
Next articleত্রিপুরায় অতিথিদের গলাধাক্কা দিয়ে সাসপেন্ড জেলাশাসক