রামায়ণেই করোনা ভাইরাসের কথা উল্লেখ করেছিলেন তুলসীদাস, সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা তুঙ্গে

রামায়ণে করোনা ভাইরাসের ব্যাখ্যা। তুলসীদাস স্বয়ং এর ব্যাখ্যা করেছিলেন । এইনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।। সত্যিই কী রামায়ণে এই মারণভাইরাসের উল্লেখ আছে? কী লিখেছিলেন তুলসীদাস?
গত বছরের পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, চিনে বাদুড়ের থেকেই এই মারণ রোগ ছড়িয়েছে। তুলসীদাস তাঁর রচিত রামায়নে বাদুড়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বিষয়টি নজরে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ষোড়শ শতাব্দীতে হিন্দিতে রামায়ণ অনুবাদ করেন তুলসীদাস। রামায়ণের একটি চরণে বাদুড়ের উল্লেখ করেছিলেন তিনি। স্যোশাল মিডিয়ায় রামচরিতমানসের সংশ্লিষ্ট পাতাটির ছবিও আপলোড করা হয়েছে। এটি হল রামচরিতমানসের ১২০ নম্বর দোহার কয়েকটি চরণ। এই রামচরিতমানসেই তুলসীদাস করোনা মহামারি নিয়ে ভবিষ্যদ্ববাণী করেছিলেন বলে অনেকেরই দাবি।
চরণের বলা হয়েছে, , ‘যে সব বোকা মানুষ সকলের নিন্দা ও সমালোচনা করে বেড়ান, তাঁরা পরের জন্মে বাদুড় হয়ে জন্মান। আর এদের থেকে অসুখ ছড়িয়ে পড়ে, যা সবার দুঃখকষ্টের কারণ হয়।’ এই অসুখটি সম্পর্কে বলা হয়েছে– ‘বায়ু, পিত্ত ও কফ একসঙ্গে মিলে খুব জ্বর আসবে। অসুখটি সহজে ছেড়ে যাবে না এবং বহু মানুষের যন্ত্রণার কারণ হবে।’ এই চরণ থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনার সূত্রপাত।

একদিকে দেশজুড়ে চলছে করোনার চোখ রাঙানি। দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে নাজেহাল মানুষ। একদিকে বেডের অভাব, অন্যদিকে অক্সিজেন ওষুধের ঘাটতি। সবমিলিয়ে আক্রান্ত জনজীবন। আর ঠিক সেইসময় রামায়ণের একটি চরণকে ঘিরে চলছে চর্চা। অনেকেই ইতিমধ্যে রামচরিতমানসে উল্লিখিত এই রোগটিকে করোনাভাইরাসের পূর্বাভাস বলেই মনে করছেন।

Advt

Previous article“আমি দেশকে বাঁচালাম, দেশ আমার ছেলেটাকে বাঁচালো না”, পুত্রশোকে পাথর কার্গিল যোদ্ধা
Next article‘নিজের জন্যও ভাবি না, আমি শুধু জিততে চাই’, ম‍্যাচের সেরা হয়ে বললেন পৃথ্বী