‘প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতা’ বলে কিছুই ছিলো না

বুথ ফেরত সমীক্ষা যে আসন দিয়েছিলো, তার থেকেও যে বেশি আসন তৃণমূল পাবে শনিবারই সে কথা জানিয়েছিলো ‘বিশ্ব বাংলা সংবাদ’৷ চূড়ান্ত ফল সে কথাই প্রমান করছে৷

আরও পড়ুন-অস্তিত্বের ভয়ঙ্কর সংকটে দলবদলুরা

একুশের ভোটে ‘প্রতিষ্ঠান- বিরোধিতা’ বলে কিছুই ছিলোনা, তা প্রমানিত৷ আপাতত-প্রাপ্ত ফল বিরোধী শিবিরের চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে, মোদি-শাহ বা বঙ্গ বিজেপির নেতারা গোটা প্রচারপর্বে গলা ফুলিয়ে যতই প্রচার করুক, বাংলায় সামান্যতম ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধী’ হাওয়াও ছিলো না৷ Anti-Establishment তত্ত্ব কখনই এলাকা বা জেলা হিসাবে কাজ করে না৷ সরকার বিরোধী হাওয়া থাকলে রাজ্যজুড়েই তা টের পাওয়া যায়৷ একের পর এক ভোটের যে ফল সামনে আসছে, তাতে স্পষ্ট হয়েছে, পাহাড় থেকে সাগর, কোথাও কোনও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার লেশমাত্র নেই৷ বুথ ফেরত সমীক্ষাও যত আসন তৃণমূলকে দিয়েছে, সেখানেও লক্ষ্য করা গিয়েছে, Anti- Establishment হাওয়া থাকলে, ওই সংখ্যক আসনও তৃণমূলকে দেওয়া যেত না৷ বাস্তব বলছে, একুশের ভোটে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ‘ওয়েভ’ বলে কিছুই ছিলো না, বিজেপি নেতারা স্রেফ বিভ্রান্ত করেছেন সাধারণ মানুষকে৷

Advt

Previous articleঅস্তিত্বের ভয়ঙ্কর সংকটে দলবদলুরা
Next articleকংগ্রেসকে স্থায়ীভাবে কফিনে ঢোকালেন প্রদেশ নেতারা, কণাদ দাশগুপ্তর কলম