ভোটে ভরাডুবির পর কী বললেন দিলীপ ঘোষ? অভিজিৎ ঘোষের সঙ্গে EXCLUSIVE দিলীপ ঘোষ

ফাইল ছবি

একুশের ভোটে ভরা ডুবির পর ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’-এর সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন…

২০০ আসন! সবই তো আপাতত স্বপ্ন…
দিলীপ : মানুষ আমাদের বিরোধী হিসাবে দেখতে চেয়েছেন। আমরা সে দায়িত্ব পালন করব। আমরা অনেক বড় লক্ষ্য রেখেছিলাম। বাস্তব এটাই, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি।

হারের মূল কারণ কী? মানুষ কেন বিশ্বাস করলেন না?
দিলীপ : সে তো দলে কাটাছেঁড়া হবে। দু বছর আগে বিরোধী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলাম। দু’ বছর পর আবার লড়লাম। হেরে গিয়েছি। পুরনো দায়িত্বই পালন করব।

বহিরাগত ইস্যু হারের পিছনে কতখানি কাজ করেছে?
দিলীপ : ওভাবে বলা শক্ত। অনেক ইস্যু আর বিষয় ছিল।

আরও  পড়ুন-নির্বাচনের ফল মিলিয়েও ভোটকুশলীর কাজ ছাড়তে চান, ঘোষণা পিকের

৮ দফার ভোট কি আপনাদের বিপক্ষে গেল?
দিলীপ : এর আগে তো ৭ দফায় ভোট হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে হয়েই থাকে। ৮ দফায় হয়েছে বলেই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।

২০১৯-এর লোকসভার ভোটের ভিত্তিতে বিজেপি ১২৪ আসনে এগিয়েছিল। ২০২১-এ তার ধারে কাছে রইল না বিজেপি। কারণ?
দিলীপ : নানা ইস্যু কাজ করেছে। আমাদের নেতা-মন্ত্রীরা পারবে কি পারবে না, নানা প্রশ্ন ছিল। বাংলায় যে কোনও একটা দলকে স্পষ্ট গরিষ্ঠতা দেয়। মানুষ মনে করেছে, টিএমসি পারবে। কম আসন পেলে সরকার ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই গরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অল্প ভোটের মার্জিনে বহু আসনে জিতেছে তৃণমূল।

অবাঙালিরা বাংলার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন, এটা বাংলার মানুষ বোধহয় ভাল ভাবে নেননি…
দিলীপ : হতে পারে। এই ইস্যু অর্থাৎ বহিরাগত ইস্যু তোলা হয়েছে। বাইরের লোকেদের ডমিনেশন বোধহয় মানতে চায়নি বাংলা।

দলবদলুরা হেরে গেল। বিজেপির প্রার্থী থাকলে ভাল হতো, জিততেও পারত…
দিলীপ : তা নয়, আমাদের অনেক পুরনো প্রার্থীও তো জেতেনি। আবার এটাও হতে পারে মানুষ মনে করেছেন, এসব তো সেই টিএমসির পুরনো মুখ। তাই অরিজিনাল টিএমসিকেই ভোট দেব…

বিরোধী দলনেতা কী মুকুল রায়?
দিলীপ : দেখা যাক। অনেক সিনিয়র নেতা আছেন।

মোদি-শাহর সঙ্গে কথা হয়েছে?
দিলীপ : না, কথা হয়নি।

এবার দিলীপ ঘোষের স্ট্র‍্যাটেজি কী হবে?
দিলীপ : আমি যেভাবে সংগঠনের কাজ দেখছিলাম, সেইভাবেই দেখব। দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করব।

Advt

Previous articleহারের দুঃখ চেপে মমতাকে জয়ের অভিনন্দন রাজনাথ- নির্মলার
Next article৩ বছরে ৩৮ শতাংশ ভোটবৃদ্ধি গেরুয়ার, এবার একাই রুখে দিলেন মমতা