ভাড়াটে সৈন্যে মুখ পুড়ল শাহের, কেরলে ধুয়ে মুছে সাফ বিজেপি

বাংলায় এবার বড় আশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল গেরুয়া শিবির। তবে বিভাজনের অঙ্ককে খারিজ করে ফের একবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা সহ বাংলায় উড়েছে সবুজ আবির। বাংলায় তাও কিছু আসন বিজেপি পেলেও, ভাড়াটে সৈন্য নিয়ে যুদ্ধে নেমে কেরলে(Kerala) ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল বিজেপি(BJP)। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের একবার কেরলে উড়ল লাল পতাকা‌।

গত বারের নির্বাচনে কেরলের নেমোম আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কুম্মানাম রাজাশেখরন। এরপর শবরীমালা নিয়ে আন্দোলন ও খ্রিস্টান পাদ্রীদের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ তুলে হিন্দু আবেগের সুড়সুড়ি দেওয়ার কাজটা ভালোই করে গিয়েছিল তারা। নির্বাচনের প্রাক্কালে মেট্রো ম্যান শ্রীধরন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দল থেকে ভাঙিয়ে আনা ভাড়াটে সৈনিক দিয়ে ভোট লড়তে নেমেছিলেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। তবে লাভ তো হলোই না উল্টে জেতা আসনটিও এবার খোয়াতে হলো তাদের। ১৪০ আসনের কেরল বিধানসভার ৯৯টি আসন এলডিএফের(LDF) ঝুলিতে। ইউডিএফ(UDF) শিবিরে গেল ৪১ আসন।

আরও পড়ুন:গেরুয়া স্বপ্নভঙ্গের মাঝেও মুখরক্ষা বিজেপির সবচেয়ে দরিদ্র প্রার্থী চন্দনার

বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলার মতো হলেও বিপুলা আসনে জয়ের দাবি জানিয়ে আসছিল গেরুয়া বাহিনী। তবে একেবারে গোহারা পর নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় মাত্র ১১ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। দলের এহেন শোচনীয়’ হারের পর অবশ্য মুখ দেখা যায়নি বিজেপির ছোট বড় কোনো নেতাকেই। তবে নির্বাচনে বিপুল জয়লাভের পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, “কেরল ধর্মের রাজনীতির জায়গা নয়”।
Advt

Previous article২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন: তারকাদের সাফল্য-ব্যর্থতা
Next articleনন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবিতে হলদিয়ায় এসডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে তৃণমূল সমর্থকরা