যোগীরাজ্যে করোনা আক্রান্তদের অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে গ্রেফতার সাহায্যকারী যুবক

ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই একের পর এক অমানবিক ছবি ফুটে উঠেছে যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh) থেকে। ফের তেমনই এক ঘটনায় সংবাদ শিরোনামে উঠে এলো বিজেপি(BJP) শাসিত এই রাজ্য। ভয়াবহ অক্সিজেন সংকট(oxygen crisis), হাসপাতালে বেডের অভাব, এহেন অবস্থায় হাসপাতালে(Hospital) বেড না পেয়ে বাইরে রাত কাটানো করোনা রোগীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে সাহায্য করেছিলেন এক যুবক। মহামারী আইনে তাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল জোনপুর হাসপাতালের বাইরে বেড না পেয়ে অপেক্ষা করছিলেন একাধিক করোনা রোগী। যাদের অনেকেরই অবস্থা গুরুতর ছিল। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি দেখে নিজেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ভিকি অগ্রহারি নামে এক যুবক। হাসপাতালের বাইরে বেডের অপেক্ষায় থাকা ২৫ থেকে ৩০ জন রোগীর কাছে পৌঁছে দেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। ওই যুবকের এহেন মানবিক উদ্যোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে ওঠে। তবে এই ঘটনাকে ভালো চোখে নেয়নি উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। করণা বিদ্রোহের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মহামারী আইন এর ১৮৮ ও ২৬৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:বিরাট হারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট রুদ্রনীলের!

এই গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে করোনা পরীক্ষা না করিয়েই এবং স্যানিটাইজেশন স্বাস্থ্য বিধি না মেনে সকলকে অক্সিজেন দিয়েছিল ওই যুবক সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা ছিল। তাই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে। এদিকে এই ঘটনা ভাইরাল হতেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ও যোগী সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে নেটিজেনরা। রীতিমতো কটাক্ষ করে বলা হয়েছে কঠিন এই সময়ে সরকারতো কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না সাধারণমানুষ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কিছু করতে চাইলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আর সেই জন্যই এই ধরনের নিষ্ঠুর পদক্ষেপ নিচ্ছে নির্লজ্জ যোগী সরকার। উল্লেখ্য এর আগেও উত্তরপ্রদেশে অক্সিজেনের অভাবে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে তথ্য ধামা চাপা দিয়ে শ্মশান ঘাটে শয়ে শয়ে মৃতদেহ পোড়ানোর ছবি।

Advt

Previous articleবিরাট হারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট রুদ্রনীলের!
Next articleবড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের: কোভিড চিকিৎসায় কাজ করবেন এমবিবিএস পড়ুয়া, মেডিক্যাল ইন্টার্নরা