গনি-দুর্গে ঘাসফুলের পোয়াবারো, মমতার কাছে ‘আম’-এর ‘প্রতিদান’ চায় মালদহ

নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মালদহবাসীর(Malda) থেকে সেখানকার বিখ্যাত ‘আম’ চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মে ফল প্রকাশের পর জানা গেল শুধু আম নয়, আমের পুরো বাগানটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) উপহার দিয়েছেন তারা। চিরকাল কংগ্রেস গড় হিসেবে পরিচিত মালদহে জোড়া ফুলের দাপট ব্যাপকভাবে চোখে পড়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। এই জেলার ১২ টি আসনের মধ্যে ৮টি আসন দখল করেছে তৃণমূল(TMC)। পাশাপাশি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে কংগ্রেসের দখলে থাকা সুজাপুরে(sujapur) এবার বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। গোটা ‘আমের বাগান’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়ার পর মালদহবাসীর প্রত্যাশা জেলার ৮ বিধায়কের মধ্যে বেশির ভাগের যেন ঠাঁই হয় মন্ত্রিসভাতে।

আরও পড়ুন:কুস্তিগিরের মৃত্যু ঘিরে নাম জড়ালো অলিম্পিক্সে পদক জয়ী সুশীল কুমারের

এ প্রসঙ্গে সুজাপুরের তৃণমূল কর্মী কামাল হোসেন বলেন, ‘ঐতিহাসিক ফল হয়েছে এই কেন্দ্রে। রাজ্যে সর্বাধিক ভোটে জয়ী হয়েছেন আবদুল গনি। গনি খান চৌধুরীর বাগানে ঘাসফুল ফুটিয়েছে সুজাপুরবাসী। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আবদুল গনিকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হোক।’ একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের চাঁচোল ব্লকের সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তীর গলাতেও। তিনি বলেন, ‘মহকুমা ঘোষণা হলেও চাঁচোল উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে। দলনেত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এলাকাবাসী নীহাররঞ্জন ঘোষকে এখানে জিতিয়েছেন। নীহাররঞ্জনকে মন্ত্রিসভায় আনা হোক।’ স্থানীয় বাসিন্দাদেরও দাবি, ‘ভোট প্রচারে জেলায় এসে মালদহবাসীর কাছে আম চেয়েছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মালদহবাসী আমের বাগান উপহার দিয়েছেন তাঁকে। তাই জেলা থেকে ২ থেকে ৩ জনকে যদি মন্ত্রী করা হয়, তবে জেলার যেমন উন্নয়ন হবে উত্তরবঙ্গেরও উন্নয়ন হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখেছেন মালদহ জেলার সভাপতি মৌসম বেনজির নূর। তিনি বলেন, ‘দিদির উপর আমার আস্থা রয়েছে। ফলে মালদহ জেলার হাত শূন্য থাকবে না।’

Advt

Previous articleকুস্তিগিরের মৃত্যু ঘিরে নাম জড়ালো অলিম্পিক্সে পদক জয়ী সুশীল কুমারের
Next articleমুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে অর্থমন্ত্রী থাকতে রাজি অমিত মিত্র, শপথ নিতে পারেন রবিবার