গুলিকাণ্ডের জেরে সাসপেন্ড দেবাশিস, এসপি পদে ফিরলেন কান্নান

শীতলকুচির গুলিকাণ্ডের পর থেকেই তৃণমূলের তরফ থেকে একে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলি চালানোর দায় স্বীকার করলেও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল কমিশন-নিযুক্ত কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে (Debashi Dhar)। কারণ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর আত্মরক্ষার্থে গুলির তত্ত্বকে সমর্থন করেন তিনি। রাজ্যে নতুন সরকার গঠন হওয়ার পরেই দেবাশিস ধরকে সরিয়ে দেওয়া হল। সেই জায়গায় পুনর্বহাল করা হল কে কান্নানকে (K Kannan)।

রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee)। বদল করা হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের। সূত্রের খবর, ভোটের সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের গুলি চালানোর ঘটনার জেরেই সুপারকে সাসপেন্ড করা হল। কোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানরা ভোটারদের উপর গুলি চালিয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত করতে পারে রাজ্য।

ভোটের আগেই দিনহাটায় এক বিজেপি নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে দিনহাটা। এরপরই নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েন কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার কে কান্নান। তাঁকে সরিয়ে কোচবিহারের পুলিশ সুপার করা হয় দেবাশিস ধরকে (Debashi Dhar)। তিনি বিজেপির হয়ে ভোটের সময় কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ করে তৃণমূল (Tmc)। চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচি বিধানসভার জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে ভোটারদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। মৃত্যু হয় চারজনের। এই ঘটনাতেও কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছিল। সে তত্ত্ব অবশ্য মানতে রাজি ছিলেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিল শীতলকুচিতে। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নিহতদের পরিবারের পাশে। আশ্বাস দেন ক্ষমতায় এসেই গুলিকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দেবেন। শীতলকুচি কাণ্ডের জেরেই বুধবার সন্ধেয় কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই পদে পুনর্বহাল করা হল কে কান্নানকে।

Advt

Previous articleকরোনা দূর করার হাতিয়ার এবার গায়ত্রী মন্ত্র, ট্রায়ালে অর্থবরাদ্দ মোদি সরকারের
Next articleকুস্তিগিরের মৃত্যু ঘিরে নাম জড়ালো অলিম্পিক্সে পদক জয়ী সুশীল কুমারের