‘উনি শুধু মন কি বাত বলেন, শুনলে ভাল হয়’, মোদিকে টুইটে তুলোধনা হেমন্ত সোরেনের

করোনা আবহে সংক্রমণের রাশ কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। উল্টে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। লকডাউন করেও কাবু হচ্ছে না করোনা। দেশজুড়ে চলছে মহামারির প্রকোপ। একই চিত্র ঝাড়খণ্ডেও। রাজ্যে চাহিদার তুলনায় অনেক কম রেমডেসিভির এসে পৌঁছেছে। অন্যদিকে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। চাহিদার কথা ভেবে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। তাই এবার মোদির উদ্দেশে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। টুইটে জানালেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুধু মনের কথা বললেন। ভালো হত যদি কাজের কথা শুনতেন।’


অতিমারি পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। শহর ও শহরতলি ছাড়িয়ে গ্রামেও প্রকট হয়ে উঠছে এই মহামারি। ঝাড়খণ্ডও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রশাসনের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের কথা বললেও তা পর্যাপ্তভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে ঝাড়খণ্ডেও দৈনিক মৃত্যু দেড়শো ছুঁই ছুঁই। এনিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী, হেমন্ত সোরেনকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরই টুইটারে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। টুইটে তিনি লেখেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। শুধু নিজের মনের কথাই বলে গেলেন। ভাল হত যদি কাজের কথা বলতেন এবং কাজের কথা শুনতেনও।’
এদিকে এই মাসের গোড়া থেকেই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন মোদি সরকার। কিন্তু রাজ্যে পর্যাপ্ত টিকাও নেই। তাই কেন্দ্রের নির্দেশ মানতে পারবে না ঝাড়খণ্ড সরকার বলে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন হেমন্ত। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যসচিব আগেই অভিযোগ করেন, অতিমারির সংক্রমণ ঠেকাতে কোনওরকম সাহায্য করছে না কেন্দ্র। এমনকি বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির কিনতে চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তারও অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্র। স্বাস্থ্যসচিব অরুণ সিং জানান, মাত্র ২ হাজার ১৮১ শিশি রেমডিসিভির এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
এর আগে বিভিন্ন রাজ্যের তরফে অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ এসেছে। কিন্তু ঝাড়খণ্ড নিয়ে তেমন অভিযোগ আসেনি। তবে অক্সিজেন বাষ্পীভূত করে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পাত্র ও সিলিন্ডারের যোগান তেমন নেই। এব্যাপারে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন হেমন্ত। তবে সেখানেও সাড়া এখনও মেলেনি। স্বভাবতই সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্যের প্রশাসন।

Advt