Thursday, August 28, 2025

নির্বাচন শেষ, উপনির্বাচন বাকি। আপাতত নির্বাচনী তালিকা বলছে তৃণমূলের ঘরে জমা পড়েছে ২১৩টি আসন। খড়দায় উপনির্বাচন হবে। ভোটের পরের দিন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্যু হয় কোভিডে। ফলে তাঁর কেন্দ্রে তৃণমূল জিতলেও ভোট হচ্ছেই। এছাড়া উপনির্বাচন হচ্ছে জঙ্গিপুর আর সামশেরগঞ্জে। কার্যত নিশ্চিত করে বলা যায় তিনটি কেন্দ্রেই অনায়াসে জিতবে তৃণমুল কংগ্রেস। ফলে আসন সংখ্যা ২১৫ হচ্ছেই।

কিন্তু তৃণমূলের অন্দরমহল বলছে এই সংখ্যাটা অনায়াসেই ২৩১ হতো। হয়নি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর অন্তর্ঘাতের কারণে। দেখা যাচ্ছে এই ধরণের আসন সংখ্যা প্রায় ১৬। আর এই অন্তর্ঘাতে অল্প ভোটে হারা আসনের সংখ্যা কম করে ১১।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই দাবি কী হাওয়ায় করা হচ্ছে? মোটেই না। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে একের পর এক অভিযোগ হেড কোয়ার্টারে জমা পড়তে শুরু করেছে। আর সে নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে হাতে গরম কিছু উদাহরণ সামনে এসেছে। সেগুলি কী?

উদাহরণ এক : পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর কেন্দ্র। এখানে তৃণমূল প্রার্থী হাজারি বাউরি পরাজিত হয়েছেন। আসনটি তৃণমূলের দখলে ছিল। পূর্ণচন্দ্র বাউরি বিধায়ক ছিলেন। এবার জেতা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। কিন্তু হারলেন কেন? হাজারি দলকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, যাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, সেই পূর্ণচন্দ্র বাউরির গোষ্ঠী পুরোদস্তুর বিজেপির হয়ে ভোট করেছে।

আরও পড়ুন-খাওয়ার সময় নেই, সারাদিন জ্বলছে চিতা, দিল্লির শ্মশানে শ্মশানকর্মীদের মর্মস্পর্শী কাহিনী

উদাহরণ দুই : আরামবাগ। তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। হারলেন কেন? সুজাতা দলকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, স্বপন নন্দী ও তার গোষ্ঠী বিজেপিকে সাহায্য করেছেন, অন্তর্ঘাত করেছেন।

উদাহরণ তিন : কৃষ্ণনগর উত্তর। তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। উল্টোদিকে বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায়। তৃণমূলের পুর প্রধান অসীম সাহা এবং অন্তত ৭জন কাউন্সিলর দলের প্রার্থীকে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ এসেছে।

এতো গেল কয়েকটি উদাহরণ। অন্তত ১১টি আসনে এই ঘটনা ঘটেছে। আর সব মিলিয়ে যোগ-বিয়োগ করলে এই সংখ্যাটা ১৬য় দাঁড়াবে। এগুলি নিশ্চিত তৃণমূলের জেতা আসন। আর তৃণমূলই তৃণমূলকে হারিয়েছে।

অন্তর্ঘাত কোথায় কোথায় হয়েছে? এই তিন জেলা ছাড়া অন্দরের খবর কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরেও একই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ যে শুধু প্রার্থীরা জানাচ্ছেন তাই নয়, পিকের টিমও একই কথা জানাচ্ছে।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূল যদি লড়াইয়ে না নামত তাহলে এই মুহূর্তে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ২৩১ গিয়ে দাঁড়াত! ভাবতে পারা যায়!

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version