কোভিড মোকাবিলায় কেন্দ্র রাজ্যকে সবরকম সহায়তা করবে, মমতাকে চিঠি লিখে আশ্বাস কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

পশ্চিমবঙ্গে কোভিড পরিস্থিতিতে অক্সিজেন, ওষুধ, বিনামূল্যে টিকাকরণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একের পর এক চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার সদুত্তর কিছু পাননি মমতা। অবশেষে শুক্রবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতাকে আশ্বাস দিয়েছেন, কেন্দ্র রাজ্যকে কোভিড -১৯ অতিমারি মোকাবিলায় সবরকম সহায়তা করবে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চার পাতার চিঠি ট্যুইট করেছেন হর্ষ বর্ধন। ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘আমার সোনার বাংলা’। চিঠির শুরুতেই হর্ষ বর্ধন মমতাকে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে COVID-19 রুখতে কী কী প্রয়োজন সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেওয়া তাঁর চিঠির উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্র কেবলমাত্র আর্থিকভাবেই নয়, বরং প্রয়োজনীয় ডায়াগনস্টিকস, থেরাপিউটিক্স, চিকিত্সা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি দিয়েও প্রতিটি রাজ্যকে সহায়তা করে চলেছে। এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং পরিষেবা দিয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ৪০ শতাংশেরও বেশি উচ্চ পজিটিভিটি হার চিহ্নিত করেছেন এবং পরীক্ষা বাড়ানোয় জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াই যাতে যৌথভাবে লড়া হয় সেই আবেদনও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-একদিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছাড়াল ১৯ হাজার, বাড়ল সুস্থতার হারও

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “একইভাবে, আমাদের রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে হবে”। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই আরও কড়াভাবে করোনা মোকাবিলা করতে চাইছেন মমতা। সেই কারণেই আগেভাগ রাজ্যে অক্সিজেন এবং ওষুধের হাহাকার শুরু না হলেও কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। শুক্রবার মমতা মোদিকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন দেন, আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যেই রাজ্যের অক্সিজেনের প্রয়োজন আরও বাড়বে। আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যে প্রতিদিন ৫৫০ মেট্রিক টন করে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে অক্সিজেন লাগছে ৪৪০-৪৭০ মেট্রিক টন। প্রতিদিন যেভাবে অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে, তাতে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advt