তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল (TMC) ‘’মিরজাফর”দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে৷ দলবিরোধী কাজের অভিযোগে এক প্রাক্তন বিধায়ক ও জেলা কর্মাধ্যক্ষকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ৷

আর এর পরের ধাপেই নিশানায় এখনও খাতায়-কলমে তৃণমূলের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)৷

সাংসদ হয়েও গোটা ভোটপর্বে ‘নিষ্ক্রিয়’ থাকা দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে রাজ্য কমিটিকে সুপারিশ করলো জেলা তৃণমূল৷ তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভোটের সময় তিনি একাধিকবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীর পক্ষেই কথা বলেছেন। নন্দীগ্রামে দলের পরাজয়ের পিছনেও দিব্যেন্দু অধিকারীর হাত আছে বলে সন্দেহ করছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন-প্রসঙ্গ গণতন্ত্র: সুজনের ব্যঙ্গ, পাল্টা কটাক্ষ কৃশানুর

দিব্যেন্দুর বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করার পর তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র (Soumen Mahapatra) বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের সুপারিশ রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। উনি সাংসদ, তাই জেলা কমিটি কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনা৷ রাজ্য কমিটির কাছে জেলার বক্তব্য জানানো হয়েছে৷ এ বার তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই চূড়ান্ত।’’

অধিকারী পরিবারে প্রথম দলত্যাগী শুভেন্দু৷ এর পর তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন ছোট ভাই সৌম্যেন্দু৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় যোগ দিয়ে শিশির অধিকারীও মুখ খোলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ বাকি ছিলেন দিব্যেন্দু। তিনি দলে থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘদিন তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই৷ এমনকী নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হওয়া নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেছিলেন৷ এই পরিস্থিতিতে জেলা তৃণমূল চাইছে রাজ্য কমিটি সাংসদ দিব্যেন্দুকে দল থেকে বহিষ্কার করুক অথবা কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করুক ৷ নাহলে দলের জেলাস্তরের নেতা- কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে৷ ওদিকে দিব্যেন্দু বলেছেন, “এ বিষয়ে আগাম মন্তব্য করা যায়না৷ আমি তৃণমূলের সাংসদ৷ দল আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও ব্যবস্থা নেয়, তারপর ওই প্রসঙ্গে কথা বলব।’’
