মুখ্যমন্ত্রীদের এড়িয়ে ডিএমদের বৈঠকে ডাক, মোদির সিদ্ধান্তে বাড়ছে বিতর্ক

করোনা পরিস্থিতি(Corona situation) সামাল দিতে ইতিমধ্যেই নিজের নিজের মতো করে মাঠে নেমে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী(chief minister) হওয়ার পর একের পর এক চিঠি লিখে কেন্দ্রের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এহেন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে জেলাশাসকদের(district magistrate) সরাসরি বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অন্ধকারে রেখে জেলা শাসকদের বৈঠকের ডাকার এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে।

জানা গেছে, আগামী ২০ মে বেলা ১১ টায় জেলাশাসকদের এই বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে বাংলার ৯ জন জেলাশাসককে ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যসচিব সহ করোনা মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন আধিকারিককেও ডাকা হয়েছে এই বৈঠকে। বাংলা সহ দেশের ১০ টি রাজ্যের জেলাশাসকরা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও হুগলির জেলাশাসকদের বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের অনুমান প্রধানমন্ত্রী এভাবে সরাসরি জেলাশাসক স্তরের অফিসারদের ডেকে বৈঠক করলে নানান রকম প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। কারণ আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রী না মুখ্যমন্ত্রী কার নির্দেশ মেনে চলবেন অতিমারি পরিস্থিতিতে কাজের ক্ষেত্রে তা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে। এবং কাজের উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে এই ধরনের ঘটনায়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, করোনা মোকাবিলায় বেশিরভাগ দায়িত্ব এখন রাজ্য সরকারের ওপর ছেড়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে সব জেলা প্রশাসনকে এক সুতোয় বেঁধে করোনা মোকাবিলার রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অক্সিজেন, প্রতিষেধক, কোভিড চিকিত্‍সার যাবতীয় বিষয়ে তাঁর নির্দেশেই কাজ হচ্ছে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে গেলে কার্যক্ষেত্রে তা সমস্যাজনক হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন:আক্রান্তদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে জয়নগর-মজিলপুর টাউন কোভিড সচেতনতা কমিটি

নবান্ন সূত্রের খবর, কেন্দ্রর এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ মমতা মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রীদের ‘এড়িয়ে’ সরাসরি ‘পিএম টু ডিএম’দের এই ধরনের সরাসরি বৈঠক রীতিবিরুদ্ধ। অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে প্রতিবাদ জানানোর কথা ভাবছেন তিনি। সেই প্রতিবাদপত্র অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে পাঠিয়ে এই ব্যাপারে তাঁদের অবহিত করাতে চাইছেন, যাতে পরবর্তী স্তরে বিষয়টি নিয়ে ‘ঐক্যবদ্ধ’ পদক্ষেপ করা যায়।

Advt

Previous articleআক্রান্তদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে জয়নগর-মজিলপুর টাউন কোভিড সচেতনতা কমিটি
Next articleকোভিড পরিস্থিতিতেও ২দিনের রাজ্য সফরে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল