ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন? জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন

করোনা পরিস্থিতি(coronavirus situation) ভয়াবহ আকার নিয়েছে দেশে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এরই মাঝে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত করোনার দোসর হয়ে আতঙ্ক কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস(black fungus) বা কৃষ্ণ ছত্রাক। পরিস্থিতি গুরুতর অনুমান করেই এবার দেশবাসীকে এই রোগ কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তার উপায় বাতলে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী(health Minister) হর্ষবর্ধন(Harshvardhan)।

শুক্রবার বিপদজনক এই রোগ সম্পর্কে দেশবাসীকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস নামক এই রোগকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় মিউকরমায়োসিসও বলা হয়ে থাকে। তিনি জানান, একপ্রকার ছত্রাক থেকে যে সংক্রমণ হয় তার জেরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এখনই শরীরে জাঁকিয়ে বসে এই ভাইরাস। এই সংক্রমণ মূলত হয় সেই সমস্ত রোগীদের যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে। যেমন, উচ্চ রক্তচাপ, মধুমেহ অর্থাৎ ব্লাড সুগার থাকলে সংক্রণের প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি দীর্ঘ সময় কোনো রোগী আইসিইউতে থাকলে তার শরীরে এই সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

এই রোগের উপসর্গ সাধারণত চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখে ব্যথা করা। তার সঙ্গে জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, রক্তবমি এবং মানসিক অস্থিরতা এই রোগের উপসর্গ হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই রোগ থেকে নিস্তার পেতে হাইপারগ্লাইকোমিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন হর্ষবর্ধন। তিনি জানান, যে ডায়বেটিস রোগীরা সদ্য করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তাঁরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিমিত স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টি বায়োটিক বা অ্যান্টি ফ্যাঙ্গাল ওষুধ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

আরও পড়ুন:হামলার মুখে বিজেপি সাংসদ, গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হল ইট

পাশাপাশি, শরীরে কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে তা এড়িয়ে না যাওয়ার পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে নাক বন্ধ হলে বা সর্দি লাগলেই সেটা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। কোনও অসুবিধা বুঝতে পারলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই নতুন রোগে সংক্রমণের হার এখনও চিন্তাজনক নয় ঠিকই। কিন্তু মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু ক্ষেত্রে করোনা সেরে ওঠার পর এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ভয়ের বিষয়টা হচ্ছে, এই রোগের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি। এই অবস্থায় সচেতনতা এবং ভাইরাসের দ্রুত চিহ্নিতকরণের উপরই জোর দিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Advt

Previous articleহামলার মুখে বিজেপি সাংসদ, গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হল ইট
Next articleঅনাস্থা আনার প্রস্তুতি শুরু হতেই ইস্তফা দাসপুরের ‘শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ’ উপপ্রধানের