কোভ্যাক্সিন’ তৈরি করতে এবার গুজরাটের এক সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র এবং ভারত বায়োটেক৷ বলা হয়েছে, টিকা তৈরিতে গতি আনতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারত বায়োটেক। গুজরাতের আরও দুই সংস্থাকেও ভ্যাকসিন তৈরির অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে৷
করোনা প্রতিষেধক টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ (covaxin) তৈরির প্রযুক্তি এতদিন নিজেদের কাছেই রেখেছিল প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক’ (Bharat Biotech)। দেশজুড়ে টিকার অভাবের কথা বিবেচনা করে ওই ভ্যাকসিন-ফর্মুলা অন্য কোনও সংস্থার হাতেও তুলে দিতে পারে ভারত বায়োটেক, এমন ইঙ্গিত দেওয়ার পরই জানা গিয়েছে গুজরাটের (Gujarat) এক সংস্থা, ‘গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার’-কে এই ভ্যাকসিন তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারত বায়োটেক। সূত্রের খবর, একাধিক সংস্থা আবেদন করলেও গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গুজরাটের আরও দু’টি সংস্থা, Hester Biosciences এবং Omni BRx -কেও ভ্যাকসিন তৈরির ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে৷ সূত্রের খবর, Hester সংস্থাটিি প্রাণী স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এবং Omni BRx, একটি বায়োটেক সংস্থা। কেন্দ্রের বক্তব্য, একসঙ্গে এই তিন সংস্থা প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল গত বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, অন্য সংস্থাকে দিয়ে ‘কোভ্যাক্সিন’ তৈরির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। তারপরই শনিবার জানানো হয়, গুজরাটের একটি সংস্থা, গুজরাট বায়োটেকনলজি রিসার্চ সেন্টারকে আপাতত ভ্যাকসিন তৈরির বরাত দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, চলতি মে মাস থেকেই গুজরাট বায়োটেকনলজি এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে দেবে। প্রথম মাসে কত ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হবে তা এখনও জানানো হয়নি।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, একাধিক সংস্থা টিকা তৈরি শুরু করলে দেশে টিকাকরণ অভিযান অনেকটাই গতি পাবে৷ ১৩০ কোটির দেশ ভারতে এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’টি সংস্থা, সেরাম ইন্সটিটিউট এবং ভারত বায়োটেক, টিকা তৈরি করছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়া অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না। কেন্দ্র জানিয়েছে, এই কারনেই প্রস্তুতকারক সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷